বেঙ্গালুরু ও কলকাতা: কর্ণাটকে গহনা ও রত্ন চুরি করে ট্রেনে চেপে কলকাতায় পালিয়ে এল চোর। খবর পেয়ে সোজা বিমান ধরে গন্তব্যে আগেই হাজির হয়ে স্বাগত জানাল পুলিশ!


খবরে প্রকাশ, বেঙ্গালুরুতে মণিবের বাড়ি থেকে বহুমূল্য রত্ন চুরি করে পালায় পরিচারক। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, চোর ট্রেনে চেপে পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। সময় নষ্ট না করে সোজা বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতার বিমান ধরে পুলিশ। ট্রেন পৌঁছনোর আগেই পুলিশ গন্তব্যে পৌঁছে চোরের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।


বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, কৈলাশ দাস নামে ওই পরিচারকের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে। গত ৬ বছর ধরে বেঙ্গালুরুর জেপি নগরে পেশায় নির্মাণ-ব্যবসায়ী রাজেশবাবুর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করত।


পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে ব্যবসায়ীর পরিবারের এক সদস্য কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বভাবতঃ কারণে ওই সদস্যকে পরিবারের বাকি সদস্যরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে।


অভিযোগ, সেই ফাঁকে ব্যবসায়ীর ঘর থেকে মূল্যবান সোনা ও হিরের গহনা ও দামী রত্ন-ভর্তি একটি আস্ত লকার চুরি করে পালায় কৈলাশ। পুলিশে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, চুরি হওয়া অলঙ্কারের মোট মূল্য আনুমানিক ১.৩ কোটি টাকা।


চুরি করে গত ৯ তারিখ কৈলাশ প্রথমে মহীশূরে পালিয়ে যায়। সেখানে সে কিছুদিন একটি লজে কাটায়। সেখানে সে লকার ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু, পারেনি। তখন সে সিদ্ধান্ত নেয়, বাড়িতে চলে যাবে।


সেই অনুযায়ী, কৈলাশ বেঙ্গালুরু ফিরে আসে। সেখান থেকে সে হাওড়া-যশবন্তপুর ট্রেনে চাপে। এদিকে, চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন রাজেশ। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রতিটি স্টেশন ও বাস ডিপোর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে।


পুলিশ জানতে পারে, কৈলাশ যশবন্তপুর-হাওড়া ট্রেনে চাপছে। পুলিশ সিদ্ধান্ত নেয়, তারা বিমানে করে আগে কলকাতায় গিয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। পুলিশ বিমান ধরে সোজা কলকাতায় চলে আসে। হাওড়া স্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকে।


ট্রেন থেকে কৈলাশ নামামাত্রই তাঁকে ঘিরে ধরা হয়। কৈলাশ পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। কৈলাশকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। এর আগে একইভাবে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে বিমানে করে আজমেঢ়ে গিয়ে চোরকে ধরে নিয়ে আসে বেঙ্গালুরু পুলিশ।