হায়দরাবাদ: ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ফের মৃত্যুর খবর দেশে। মৃত্যু হয়েছে  আরও এক স্বাস্থ্যকর্মীর। ফের শিরোনামে তেলঙ্গানা। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই নিয়ে ৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হলো রাজ্যে। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া মৃত্যুর কারণ নয় বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।


ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বয়স ৫৫ বছর। তেলঙ্গানার মানচেরিয়াল জেলার কাসিপেত গ্রামের বাসিন্দা তিনি। গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হয় টিকাকরণ। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি কাশিপেত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেন তিনি।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর শাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার তাঁকে ভর্তি করা হয় মানচেরিয়ালের মেডিলাইফ হাসপাতালে। পরে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় নিজামস ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে। গতকাল ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।

তেলঙ্গানার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কো-মর্বিডিটির জন্য মৃত্যু হয়েছে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর। এর সঙ্গে টিকাকরণের কোনও সম্পর্ক নেই। তারা জনিয়েছে, কো-মর্বিডিটির জন্য হৃদযন্ত্র বিকল হয়। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর। এর আগে নির্মল এবং ওয়ারিঙ্গাল জেলায় মৃত্যু হয়েছে দুই স্বাস্থ্যকর্মীর।

প্রথম সারির যোদ্ধাদের প্রথম দুই পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে বলে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর দেওয়া হবে যাদের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব। এরপর প্রাধান্য পাবে ৫০ বছর কম বয়সি, যাদের কো-মর্বিডিটি আছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, প্রথম সারির যোদ্ধাদের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণ করা হবে।

উল্লেখ্য, করোনা অতিমারী মোকাবিলায় ভারতে দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমতি দিয়েছে ডিসিজিআই। যে তালিকায় আছে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। আর তা শুরু হওয়ার পর একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সারা দেশে ৩৭ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। শুধু দেশের অন্দেরই নয়। বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পাশাপাশি ব্রাজিলের মতো একাধিক দেশেও পাঠানো হয় ভ্যাকসিন।