নয়াদিল্লি: ফের কাঁপল তুরস্ক (Turkey)। এই নিয়ে তৃতীয়বার। একই দিনে সন্ধে পর্যন্ত পরপর তিনবার। সন্ধে বেলা মধ্য তুরস্ক ফের কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৬.০। এর আগে সকালে কেঁপে উঠেছিল সিরিয়া-তুরস্ক। সকালে দক্ষিণ তুরস্কে আঘাত হেনেছিল ভূমিকম্প (Earthquake)। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৮। তারপরে ফের বিকেলের দিকে দক্ষিণ পূর্ব তুরস্ক কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৬


এখনও পর্যন্ত যা খবর মিলছে, তাতে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। বহু প্রাণহানিও হয়েছে। নিখোঁজ বহু বাসিন্দা। উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। ত্রাণ ও উদ্ধারের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। সন্ধে পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী তুরস্ক ও সিরিয়ায় যা ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩০০ ছাড়িয়েছে। পরপর ভূমিকম্পে প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বহু লোকজন খোলা আকাশের নীচে থাকছেন। বাড়ি ঘর ভেঙে যাওয়ার ঘরছাড়া বহু। আজ ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ প্রান্তে প্রবল ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পের উৎসস্থল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহর। ১০ মিনিট পরেই আফটার শক। দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, লেবানন, সিরিয়া, গ্রিস, ইরানেও প্রবল কম্পন অনুভূত হয়।                 


কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে একের পর এক বহুতল এবং বাড়ি। সেই বাড়িগুলির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। 


পাশে থাকার বার্তা:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( PM Narendra Modi )ইতিমধ্যেই ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ককে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তিনি বার্তা দিয়েছেন, "ভারত তুরস্কের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। এই বিপর্যয় মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত ভারত" জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ( Turkish President Recep Tayyip Erdogan ) বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় "তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে"। তিনি টুইটারে লিখেছেন, "আমরা আশা করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এক সঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব এবং কম ক্ষতির মুখোমুখি হব"। মন্ত্রী (Interior Minister ) সুলেমান সোয়লু ( Suleyman Soylu ) এখনই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতেগুলিতে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।


আরও পড়ুন: বদলাবে ভাবমূর্তি ? আদানি ট্রান্সমিশনে ৪৭৮ কোটি টাকা লাভ, ৭৩ শতাংশ মুনাফা