ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা : করোনা সংক্রমণ রোধে অন্যতম হাতিয়ার নিয়ম-বিধি মেনে চলা। শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা। মুখে মাস্ক পরা। কিন্তু, এইসব বিধি অগ্রাহ্য করে তারস্বরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে হোটেলে চলল উদ্দাম নাচ-গান। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। ঘটনায় পার্ক স্ট্রিটের অভিজাত হোটেল থেকে ৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, করোনা বিধির তোয়াক্কা না করে হোটেলের নাইট ক্লাবে গভীর রাত পর্যন্ত চলছিল পার্টি। খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপরই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি মার্সিডিজ-সহ দুটি গাড়ি ও অন্যান্য সামগ্রী। ধৃতদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ জারি থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের ঘটনা সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এভাবে কি সংক্রমণের মোকাবিলা আদৌ সম্ভব তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক ধরে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকলেও ফের বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৯০ জন। শনিবার প্রকাশিত রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯৭ জন। এই সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
উল্লেখ্য, পশ্চিম মেদিনীপুরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭১ জন। এই পরিস্থিতিতে জেলায় ৫৫টি কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সংক্রমণ রুখতে চলছে কড়া নজরদারি। কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় রয়েছে খড়গপুর পুরসভার ৫টি ওয়ার্ড। গত শুক্রবার রাতে নাকা চেকিং করে পুলিশ। রাত ৯টার পর দোকান খোলা রাখায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। সতর্ক করা হয় ব্যবসায়ীদের। ইন্দা বাস স্ট্যান্ড, খরিদা, মালঞ্চ এলাকাতেও চলে পুলিশি নজরদারি। কোভিড বিধি ভাঙায় গ্রেফতার করা ৯ জনকে।