নয়াদিল্লি: মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন রাহুল গান্ধী। মানহানি-মামলায় ২ বছরের সাজা ঘোষণা করল সুরাত জেলা আদালত। পরে আদালত থেকেই জামিন পান কংগ্রেস সাংসদ। তবে ২ বছরের সাজা ঘোষণায়, সাংসদ পদ খোয়াতে হতে পারে রাহুলকে। ২০১৯-এ লোকসভা ভোটের সময় কর্ণাটকে সভা করতে গিয়ে রাহুল কটাক্ষ করেন, সব চোরেদের পদবি কী করে মোদি হয়। রাহুলের এই মন্তব্যেই বিতর্ক শুরু হয়। রাহুল আসলে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের হয়। কড়া নিরাপত্তায় আজ সকালে সুরাত জেলা আদালতে পৌঁছন কংগ্রেস সাংসদ। তাঁর উপস্থিতিতেই রায় শোনায় আদালত। সাজা কমানোর আবেদন জানান রাহুল। তাঁর বয়ানে কারও ক্ষতি হয়নি বলেও আবেদনে উল্লেখ করেন।


IANS সূত্রের খবর, এটি সাত নম্বর মামলা যেখানে রাহুল গাঁধী জামিন পেলেন।


এর আগে কোন কোন মামলা:
ন্য়াশনাল হেরাল্ড মামলাতেও জামিন পেয়েছেন রাহুল গাঁধী। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে রাহুল ও তাঁর সনিয়া গাঁধী ওই মামলায় জামিন পান। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর করা ওই মামলায় ৫০ হাজার টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মিলেছিল। 


২০১৯ সালের ৬ জুলাই, পাটনা আদালত থেকে একটি মানহানি মামলায় জামিন পান রাহুল গাঁধী। এক বিজেপি নেতার করা মামলায় জামিন পেয়েছিলাম।


২০১৯ সালের ১২ জুলাই আহমদাবাদ আদালত থেকে একটি মানহানি মামলায় জামিন পান তিনি। আহমদাবাদ জেলা কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কের তরফে মামলা করা হয়েছিল। রাহুল একটি অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে ওই ব্যাঙ্কে নোটবন্দির সময় নোট বদল করা হয়েছে। 


২০১৯ সালের ৪ জুলাই মুম্বই আদালতে একটি মানহানি মামলায় জামিন পান তিনি। এক আরএসএস কর্মী সেই মামলা করেছিলেন। গৌরী লঙ্কেশ-হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে রাহুলের একটি বক্তব্য নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। ১৫ হাজার টাকার বদলে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। 


২০১৬ সালের নভেম্বরে মহারাষ্ট্রে ভিওয়ান্ডি আদালত রাহুল গাঁধীকে জামিন দেয়। রাহুল বলেছিলেন মহাত্মা গাঁধীকে আরএসএস খুন করেছে। সুপ্রিম কোর্টেও তিরষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি।


২০১৬ সালে গুয়াহাটি আদালতে রাহুল গাঁধীকে একটি মানহানির মামলায় জামিন দেওয়া হয়। ৫০ হাজার টাকা ব্যাক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয়। সেখানেও রাহুল গাঁধীর একটি মন্তব্যের কারণে এই মামলা করা হয়েছিল।


আরও পড়ুন: 'মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির কথা এখনই ভাবছি না', বললেন অস্কারজয়ী পরিচালক কার্তিকি গঞ্জালভেস