প্যারিস: প্য়ারিসের শহরতলিতে গলা কেটে শিক্ষক হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই ফ্রান্সে ছুরি হামলায় মুণ্ডচ্ছেদ মহিলার। নিহত আরও ২। ফ্রান্সের নিসে শহরে এক গির্জায় এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শহরের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান এসট্রসি ছুরি হামলাকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে ট্যুইট করেছেন, শহরের নত্রে দাম গির্জার ভিতরে বা তার কাছেই ছুরি নিয়ে চড়াও হয় হামলাবাজ। তাকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনজনের মৃত্যু ও একাধিক লোকের জখম হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাদের একটি সূত্রেই বলা হয়েছে, এক মহিলার মাথা কাটা হয়েছে। ফরাসি রাজনীতিক মেরি লি পেনও হামলায় মস্তক ছিন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছেন। ফ্রান্সের সন্ত্রাসবাদ দমন প্রসিকিউটরের দপ্তর জানিয়েছে, তাদের হামলার তদন্ত করতে বলা হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশ ওই গির্জা ঘিরে রেখেছে। শহরের মূল শপিং কেন্দ্রের কাছেই ওই গির্জা।
ক্লাসে অবাধ বাক স্বাধীনতা নিয়ে পড়ানোর সময় হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র দেখানোর ‘অপরাধে’ চেচেন বংশোদ্ভূত এক যুবক প্যারিসে স্যামুয়েল পেটি নামে শিক্ষকের মাথা কেটে নেয়। তবে নিসের ছুরি হামলার পিছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে,তা এখনও জানা যায়নি। মুসলিমরা যাকে ধর্মদ্রোহিতা বলে দেখে, সেই পয়গম্বরকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র দেখানোর সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কিনা, তাও এখনও পরিষ্কার নয়।
পেটির মৃত্যুর পরও ফরাসি কর্তৃপক্ষ মহম্মদের কার্টুন প্রকাশের অধিকারের সমর্থনে সওয়াল করেছে। দেশের অনেক সাধারণ নাগরিকও এই অধিকারের পক্ষে সরব। নিহত শিক্ষকের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে দেশে মিছিল,সভা হচ্ছে। তাতে পয়গম্বরের কার্টুন প্রদর্শনও করা হচ্ছে।