হায়দরাবাদ : ভ্যাকসিনের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এরই মধ্যে পৌঁছাল ভাল খবর। রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন এল দেশে। আজ হায়দরাবাদের রাজীব গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় একটি কনসাইনমেন্ট। গত রবিবারই স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, জুন মাসেই প্রায় ১২ কোটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে দেশে।


স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, জুন মাসে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ৬.০৯ কোটি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। স্বাস্থ্যকর্মী, অতিমারি পরিস্থিতিতে সামনের সারিতে কাজ করছেন যাঁরা, ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের বিনামূল্যে টিকাকরণের জন্য ভারত সরকারের তরফে এই পরিমাণ ভ্যাকসিন পাঠানো হবে।


আরও বলা হয়েছে, ৫.৮৬ কোটি ভ্যাকসিন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি এবং বেসরকারি হাসপাতাল সরাসরি সংগ্রহ করতে পারবে। অর্থাৎ জুন মাসে ন্যাশনাল কোভিড ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামে প্রায় ১২ কোটি ডোজ(১১ কোটি ৯৫ লক্ষ ৭০ হাজার) পাওয়া যাবে। 


আজ GMR হায়দরাবাদ এয়ার কার্গোর তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশেষ চার্টার্ড ফ্রেইটার RU-9450-তে রাশিয়া থেকে ভ্যাকসিনের একটি কনসাইনমেন্ট এসে পৌঁছেছে। হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে ৩টে ৪৩ মিনিট নাগাদ এই বিমান পৌঁছায়। উল্লেখ্য, এই স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন বিশেষভাবে -20 C-এ স্টোর করে রাখতে হবে।


ভারতে Dr Reddy's Laboratories রাশিয়ান ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ভারতে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ২৫০ মিলিয়ন ভায়াল বিক্রি করা হবে। ভারতের ড্রাগ রেগুলেটরের তরফে এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদনও পেয়েছে Dr Reddy's Laboratories। এর আগে RDIF-এর কাছ থেকে দুই লক্ষ ভ্যাকসিন পেয়েছিল Dr Reddy's Laboratories। তার সফ্ট লঞ্চও হয়। 


প্রসঙ্গত, ভারতে এই মুহূর্তে দুই ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড। হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক তৈরি করছে কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড স্থানীয়ভাবে তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। তবে ভ্যাকসিনের অভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া কার্যত থমকে রয়েছে।