খড়্গপুর:   ত্রাণ বিলির নামে সরকারি চাল মজুত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে। খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শাসক-নেতার দাবি, ইয়াস-বিপর্যয়ে ত্রাণ হিসেবে বিলির জন্য ওই চাল আনা হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডব শেষ। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির রেশ এখনও রয়ে গিয়েছে। অনেক মানুষও ঘরবাড়ি হারিয়ে নিরাশ্রয় হয়েছেন। আশ্রয় নিয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। বহু এলাকা চলে গিয়েছে  জলের তলায়। চাষবাসেরও ক্ষতি হয়েছে। চলছে ত্রাণ ও পুণর্বাসনের কাজ। এরইমধ্যে ত্রাণ বিলির নামে সরকারি চাল মজুত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের এক  বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে।  পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ১ নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই  ঘটনা ঘটেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিস থেকে সরকারি চাল নিয়ে এসে স্থানীয় সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে মজুত করেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। বিষয়টি জানাজানি হলে শনিবার সিপিএম সমর্থকের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পরে তৃণমূল প্রধানের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বিডিও অফিসের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ গিয়ে সরকারি চাল উদ্ধার করে। চাল-দুর্নীতিতে দলেরই নেতা জড়িত বলে স্বীকার করেছেন তৃণমূল প্রধান। তিনি বলেছেন, দলের ওই নেতা পঞ্চায়েত অফিস থেকে জোর করে ওই চাল নিয়ে আসেন। 
সিপিএম সমর্থকের দাবি, তৃণমূল নেতার অনুরোধেই তিনি বাড়িতে চাল মজুত করার অনুমতি দেন। চাল-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত শাসক-নেতার দাবি, ইয়াস-বিপর্যয়ে ত্রাণ হিসেবে বিলির জন্য ওই চাল আনা হয়েছিল।


এর একদিন আগে ইয়াসের ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠেছিল মালদায়। এই অভিযোগ ছিল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।ইয়াসের তাণ্ডবের জেরে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রবল বৃষ্টি হয়েছিল।সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠল কংগ্রেস পরিচালিত ভিঙ্গোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ত্রাণ বিলিতে বেছে বেছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসক শিবিরের দাবি, পঞ্চায়েত কংগ্রেসের হাতে থাকায় শুধুমাত্র ওই দলের কর্মী-সমর্থকরাই ত্রাণ পাচ্ছেন। এনিয়ে বিডিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ত্রাণ বিলিতে দলবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।