বর্ধমান ও আলিপুরদুয়ার, কমলকৃষ্ণ দে ও আরিন্দম সেন : ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, লাঠি, বাঁশ, রড দিয়ে মারা হয়েছে। অভিষেকের সঙ্গে থাকা ৩ নিরাপত্তারক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন। ১০০ মিটার ছাড়া ছাড়া রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবার রাজ্যে পথে নামল তৃণমূল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাশাপাশি প্রতিবাদ জানানো হয় বর্ধমান ও আলিপুরদুয়ারে।


বর্ধমানের কার্জনগেট চত্বরে জিটি রোড অবরোধ করে তৃণমূল। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বে অবরোধে সামিল হন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। মিনিট দশেকের অবরোধে যানজট তৈরি হয় জিটি রোডে। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে ওঠে অবরোধ।


অন্যদিকে তৃণমূল যুব কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখায় আলিপুরদুয়ারে। আলিপুরদুয়ার শহরের কলেজ হল্ট মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট বিক্ষোভ দেখানো হয়। অবিলম্বে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।


উল্লেখ্য, এদিন অভিষেকের সফর ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। চলন্ত গাড়িতে যথেচ্ছ লাঠির বাড়ি মারা হয় বলে অভিযোগ। নিজেই ভিডিও ট্যুইট করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের কাছে অভিষেককে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। পাল্টা খেলা হবে স্লোগান তোলে তৃণমূল। এরইমধ্যে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুষ্পাঞ্জলিও দেন তিনি। এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বলেন, ‘ত্রিপুরায় অতিথি দেব ভবঃ-র নামে যে ঘটনা ঘটেছে, সবাই দেখেছে। ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচি শুরু করতে চেয়েছিলাম। মা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাতে না পৌঁছতে পারি, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে বিজেপি। 


অভিষেকের অভিযোগ, ‘ত্রিপুরার পুলিশ নিষ্ক্রিয়। পুলিশকে সরকারের নির্দেশ পালন করতে হয়, পুলিশকে দোষারোপ করব না। লড়াই আজ থেকে শুরু হল। আজকের তারিখ লিখে রাখুন, ত্রিপুরায় দেড় বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। জহ্লাদদের উল্লাসমঞ্চে পরিণত করেছে বিজেপি। বিপ্লব দেব ও বিজেপির ক্ষমতা থাকলে আটকে দেখাক। আমার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’