নয়াদিল্লি: জল্পনা বাড়ালেন সুনীল মণ্ডল। মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এবার পেগাসাস-বিতর্কে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন বর্ধমান পূর্বের বিজেপি সাংসদ। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন সুনীল মণ্ডল। কিন্তু সম্প্রতি তিনি মুকুল রায়ের সঙ্গে দেখা করায় ঘর ওয়াপসির জল্পনা তৈরি হয়। কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাসভবনে গিয়েছিলেন সুনীল। তারও আগে বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, ‘যাঁরা তৃণমূল থেকে এসেছে, বিজেপি তাঁদের মানতে পারছে না। বিজেপি মনে করছে এদের বিশ্বাস করা ঠিক হচ্ছে না। ভেবেছিলাম বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে বড় দল। কিন্তু সেরকম ভাবে পাচ্ছি না।’


সুনীল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘শুভেন্দু যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এক অক্ষরও মানেননি।শুভেন্দুকে নিয়ে একটা কথাও বলতে চাই না।’  


এদিন সুনীল মণ্ডল বলেছেন, "আমি তৃণমূলেই আছি। সেখান থেকে পদত্যাগ করিনি। আমি তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলেই থাকব। বিজেপিতে কোনও সদস্যপদও নিইনি। ফোন হ্যাকিং ব্যক্তিগত সত্ত্বায় আঘাত। এটা চরমতম অন্যায়। আমি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতেই পারি। তাই বলে আমি বিজেপিতে যাচ্ছি ধরে নেওয়া ভুল।


অন্যদিকে, বিজেপি তাঁকে বসন্তের কোকিল বলে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এক প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, সুনীল আজ তাঁদের সঙ্গে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। শুভেন্দু ভুল বুঝিয়েছিলেন  তাঁকে।  তবে সুনীলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিধানসভা ভোটের পর থেকে সুনীল মণ্ডল বিজেপির প্রতি বেসুরো হলেও তৃণমূল তাঁর বিরুদ্ধে ময়দানে নেমে পড়েছিল। সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবি তোলে তৃণমূল। রাষ্ট্রপতির কাছেও এ নিয়ে আবেদন জানায় তারা। সে অনুযায়ী, দলত্যাগ বিরোধী আইনে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে চিঠিও পাঠায় লোকসভার সচিবালয়। 
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এবার তৃণমূল কী করবে? তৃণমূল সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে দলই সিদ্ধান্ত নেবে।