প্রসেনজিৎ সাহা, ত্রিপুরা: ত্রিপুরা বিধানসভা (tripura assembly election) ভোটে আর ১১ দিন বাকি। তার আগে রবিবার ইস্তেহার (manifesto) প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি রইল তৃণমূলের ইস্তেহারে। আর কী?
ত্রিপুরায় তৃণমূলের ইস্তেহার...
আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট। ফল ঘোষণা ২ মার্চ। তার আগে, ইস্তেহারে ২ লক্ষ কর্মস্থানের প্রতিশ্রুতি দিল তৃণমূল। সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর চাঁচাছোলা আক্রমণ, 'কৃষিপ্রধান ত্রিপুরায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পও বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সেই জায়গায় আমাদের ইস্তেহারে কৃষি থেকে শিল্প, সব মিলিয়ে ২ লক্ষ এমএসএমই-র কথা বলা হয়েছে। আমরা বৃত্তিমূলক দক্ষতা তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছি। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তনের কথা বলেছি।' তাঁর আশ্বাস, বাম-বিজেপি শাসনে তলিয়ে যাওয়া ত্রিপুরাকে উন্নয়নের পথে ফিরিয়ে আনতেই এই ইস্তেহার। পরে বার্তা দেন শশী পাঁজাও। বলেন, 'বেকারত্বের হারের নিরিখে গোটা দেশের পরিসংখ্য়ান যদি দেখেন, তা হলে কোভিড কালেও পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে গিয়েছে। বেকারত্বের হার কমেছে।' লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে কন্যাশ্রী, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের একাধিক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন শশী পাঁজা। বার্তা একটাই। ত্রিপুরার উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি তাঁদের।
জোট ঘিরে জট জারি...
এদিকে নির্বাচনের ১১ দিন আগেও জোটের পরিস্থিতি স্পষ্ট হল না। দিনচারেক আগেও ত্রিপুরায় বাম ও কংগ্রেসের জোট কার্যত বিশ বাঁও জলে ছিল। জোটের ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি তিপ্রামথা। বিজেপিকে রুখতে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জোট করে ত্রিপুরায় ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু আসন নিয়ে দর কষাকষির মধ্যেই কংগ্রেসকে ১৩টি আসন ছেড়ে বাকি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় বামেরা। কংগ্রেসও ১৩টির বদলে মোট ১৬টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়ে দেয়। আর অন্যদিকে ৫৯টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে বামেরা। একটি আসনে লড়ছে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। তিপ্রামোথাও ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে আদৌ বিরোধীরা জোট হবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়। এই বিষয়ে কংগ্রেসের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, 'শুধু কংগ্রেস নয়, তিপ্রামথার সঙ্গেও আলোচনা চলছে, খুব শিগগিরই সমাধান সূত্র বেরোবে, প্রদ্যোতের সঙ্গে কথা হয়েছে।'এদিকে, পৃথক তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব তিপ্রামথা। ত্রিপুরা রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎ কিশোর দেব বর্মণের নেতৃত্বাধীন দলটির অবস্থান ছিল, যারা লিখিতভাবে তিপ্রাল্যান্ড গঠনের ব্যাপারে আশ্বাস দেবে, ভোটে তাদের সঙ্গেই থাকবে তিপ্রামথা। সম্প্রতি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় বসেন প্রদ্যোৎ কিশোর। যদিও রফাসূত্র বেরোয়নি। অন্যদিকে, বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটি-র সঙ্গে আলোচনা চললেও, তারা শেষপর্যন্ত তিপ্রামথা-র সঙ্গে মিশে যায়নি। বরং বিজেপির সঙ্গে জোট বজায় রেখে, ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে আইপিএফটি। এই পরিস্থিতিতে ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তিপ্রামথা। এই নিয়ে তিপ্রামথার রাজ্য সভাপতি বিজয়কুমার রাঙ্খল বলেন, 'এই বিষয়গুলি দায়িত্ব চেয়ারম্য়ানের, আমাদের কথা বলার জায়গা নেই।'
আরও পড়ুন:চোটের জন্য নাগপুর টেস্ট থেকে ছিটকে গেলেন জস হ্যাজেলউড