কলকাতা : বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্তকে রাজ্যসভায় পুনরায় "দ্রুততার" সাথে কেন্দ্রের মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট তৃণমূল। গতকালই তাঁকে রাজ্যসভায় পুনরায় মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। 


এনিয়ে আজ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, স্বপন দাশগুপ্তকে রাজ্যসভায় পুনরায় মনোনীত করা হয়েছে। অথচ তৃণমূলের তরফে সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারীর সদস্যপদ ডিসকোয়ালিফাই করার জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। তাতে তিনি কোনও সাড়া দেননি। সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারী। কিন্তু, তাঁরা সাংসদপদ ছাড়েননি।


সরকারের উপদেশমতো সংসদের উচ্চকক্ষে প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বদের মনোনীত করেন রাষ্ট্রপতি। এই মনোনীত ব্যক্তিদের সাহিত্য, বিজ্ঞান, ক্রীড়া. কলা ও সমাজ সেবার মতো জগৎ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।  স্বপন দাশগুপ্তকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু, এবারের বিধানসভা ভোটে তারকেশ্বরের স্বপন দাশগুপ্তকে প্রার্থী করে বিজেপি। এর পরই ট্যুইটে তাঁর সাংসদপদ বাতিলের দাবি তোলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।


কৃষ্ণনগরের সাংসদ দাবি জানান, সংবিধানের দশম তফসিলে উল্লেখ আছে, রাজ্যসভার কোনও মনোনীত সদস্য, শপথগ্রহণের ৬ মাস পর যদি কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেন, তাহলে তাঁর সাংসদপদ বাতিল হয়ে যায়। স্বপন দাশগুপ্ত ২০১৬-র এপ্রিলে শপথ নেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় তাঁর রাজ্যসভার সাংসদপদ বাতিলের দাবি তোলেন মহুয়া। ভোটের আগে রাজ্যসভার সদস্য পদে ইস্তফা দেন স্বপন। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। তৃণমূল প্রার্থী রমেন্দু সিনহারায়ের কাছে ৭ হাজার ৪৮৪ ভোটের ব্যবধানে হারেন তিনি। 


এপ্রসঙ্গে কুণাল বলেন, উনি বিধানসভা ভোটে পরাজিত হয়েছেন। তার পর এই কোভিডকালে অতি দ্রুততার সাথে তাঁকে পুনরায় সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করা হল। এনিয়ে আমরা বিরক্তি প্রকাশ করি। যদিও সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হচ্ছে না। 


উল্লেখ্য, সাংসদ পদে স্বপনের মেয়াদ থাকবে ২০২২-এর ২৪ মে পর্যন্ত। আগের সাংসদ পদের মেয়াদই পূর্ণ করবেন স্বপন দাশগুপ্ত।