বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় আদিবাসী পরিবারে অমিত শাহের মধ্যাহ্নভোজনের একদিন পরেই সেই বাড়িতে হাজির হল তৃণমূল। বিভীষণ হাঁসদার হাতে তুলে দিল চাল-ডাল-কাপড়-টাকা। অন্যদিকে বাগুইআটিতে মতুয়া পরিবারে অমিত শাহর যাওয়ার পরদিনই এলাকায় সভা করেছে তৃণমূল।


বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই আদিবাসী পরিবারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল তৃণমূল! শনিবার বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে যান তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সদস্য তথা শাসকদলের নেত্রী সোনাই মুখোপাধ্যায়। পরিবারের হাতে তুলে দেন চাল-ডাল-জামাকাপড় ও অর্থ।

আর এ ছবি দেখার পর অনেকেই বলছেন, এ তো ২০১৭-য় অমিত শাহর উত্তরবঙ্গ সফরে মাহালি দম্পতির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারার অ্যাকশন রিপ্লে!!!

সোনাই মুখোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এলেও ওই পরিবারকে কোনও সাহায্য করেনি। তাই তাঁরা তাঁদের চাল ডাল দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

আদিবাসী পরিবারটি যে অসহায়, এটা কি অমিত শাহর সফরের পরই বুঝতে পারল তৃণমূল? পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি। দলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেছেন, এতদিন কখনও তৃণমূল খোঁজ নেয়নি। অমিত শাহ খাওয়ার পরই ওদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে। তাই দৌড়ে গিয়ে আর্থিক সাহায্যের প্রলোভন দেখাচ্ছে। আদিবাসী মানুষ তৃণমূলকে বুঝে গিয়েছে।

যদিও এই রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে যেতে নারাজ ওই আদিবাসী পরিবার। বিভীষণ হাঁসদা বলেছেন, সোনাই মুখোপাধ্যায় তৃণমূল নেত্রী কিনা তিনি জানেন না। তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। যাওয়ার ইচ্ছেও নেই।

২০১৭-য় উত্তরবঙ্গে সফরে গিয়ে গীতা মাহালির বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিবারটি যোগ দেয় তৃণমূলে। আর বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে যখন অমিত শাহ ভাত, ডাল, আলুপোস্ত নিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সারছেন, তখন রাজ্য সরকারের স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরিতে যোগ দেন নকশালবাড়ির সেই গীতা মাহালি।

বঙ্গ সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার বাগুইআটির আদর্শপল্লির মতুয়া পরিবার নবীন বিশ্বাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন অমিত শাহ। সেই বাড়ি থেকে ৮০০ মিটার দূরে এদিন পাল্টা সভা করে তৃণমূল। বছর ঘুরলেই এ রাজ্যে বিধানসভার ভোট। তার আগে রাজনীতি ঘিরে তুঙ্গে চাপানউতোর।