নয়াদিল্লি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে BJP বিরোধী I.N.D.I.A শিবিরে ফাটল। আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে বাংলায় একা লড়ার ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ব্যাপারে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই বলে যেমন জানিয়েছেন, তেমনই জানিয়েছন, নির্বাচনের পর পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন। মমতার এই ঘোষণায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। I.N.D.I.A জোটে মমতার থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সেই আবহেই মমতার সিদ্ধান্তের নেপথ্য কারণ খোলসা করলেন দলের নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। (Derek O'Brien)


বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে দলের সিদ্ধান্তের নেপথ্যকারণ খোলসা করেন ডেরেক। সরাসরি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury)  দিকে আঙুল তোলেন তিনি। জানান, বাংলায় তৃণমূলে এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোটের সমীকরণ কাজ না করার জন্য় দায়ী অধীর। কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে গতকাল মমতা দাবি করার পর থেকেই অধীরের সঙ্গে তাঁর তিক্ততার কথা উঠে আসছিল বার বার। এবার তাতেই কার্যত সিলমোহর দিলেন ডেরেক। (I.N.D.I.A Alliance)


এদিন ডেরেক জানান, I.N.D.I.A জোটের সাফল্যের পথে অনেক ওজর আপত্তিই রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম দুই বিপত্তি BJP এবং অধীররঞ্জন চৌধুরী। লাগাতার জোটের বিরুদ্ধে কথা বলে এসেছেন এই দুই পক্ষ। ডেরেকের বক্তব্য, "কংগ্রেস যদি নিজের কাজে সফল হয়, বড় ব্যবধানে BJP-কে হারাতে সফল হয়, তাহলে নির্বাচনের পর তৃণমূল অবশ্যই জোটে শামিল থাকবে, সংবিধান রক্ষার লড়াইয়ে শামিল থাকবে।"


আরও পড়ুন: Ayodhya Ram Mandir: উদ্বোধনের পরের দিনেই ৩ কোটির অনুদান রাম মন্দিরে, কারা দিলেন ?


২০২১ সাল থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জোট গড়ে তোলার পক্ষে সওয়াল করে আসছেন মমতা। I.N.D.I.A জোটের নামরকরণও তাঁর করা বলে জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সেই মমতাই বুধবার বাংলায় একা লড়ার কথা ঘোষণা করেন। বাংলার ব্যাপারে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানান। এমনকি রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে বেরনো 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা' নিয়ে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলেও দাবি করেন মমতা। 


তবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আসন নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, তাতেই মমতা জোট থেকে পিছিয়ে এসেছেন বলে খবর। তৃণমূল সূত্রে দাবি, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ১০ থেকে ১২টি আসন চাইছে কংগ্রেস। তৃণমূলের দাবি, আগের দুই লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে কংগ্রেস। বিধানসভাতেও শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাদের এতগুলি আসনের দাবি একেবারে অযৌক্তিক। আবার কংগ্রেসের দাবি, মাত্র দু'টি আসন ধরিয়ে তাদের নিরস্ত করতে চাইছে তৃণমূল। সেই নিয়েই চরমে উঠেছে টানাপোড়েন।