নয়াদিল্লি: এবার ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখেল। ক্রাউড ফান্ডিং (Crowdfunding)-এর মাধ্যমে তোলা সম্পদের তছরুপের একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি (ED)। একটি প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত সাকেত এখন গুজরাতের একটি জেলে রয়েছেন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি থেকে সাকেল গোখেলকে গ্রেফতার করে আহমেদাবাদ সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেটাও ক্রাউডফান্ডিংয়ের তছরুপের কারণেই হয়েছিল।
তারও আগে গুজরাতে:
মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর নরেন্দ্র মোদির সফরের খরচ সংক্রান্ত একটি ট্যুইট করায়, সাইবার আইনে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। সেই মামলায় জামিন পান তিনি। তারপরে ফের তাঁকে গ্রেফতার করে বিজেপি শাসিত গুজরাতের পুলিশ। সাইবার আইনের পর এবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে গ্রেফতার করা হয়। চারদিনে দুবার গ্রেফতারের পরে দুবারই জামিন পান তিনি।
এই ঘটনার পর গুজরাতের মোরবিতে পৌঁছয় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন সাংসদ দোলা সেন, শান্তনু সেন, খলিলুর রহমান, অসিত মাল ও সুনীল মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মোরবিতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। শুধু তা-ই নয়, গ্রেফতারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয় তৃণমূল। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যায় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ভাঙা হয়েছে, এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানায় তৃণমূল।
ট্যুইট করেছিলেন অভিষেক:
ওই ঘটনার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ''মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে দু'বার সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ (Gujrat Police)। তাও আবার আদর্শ আচরণবিধি থাকার মধ্যেই। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। বিজেপির আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। নড়বড়ে অবস্থায় গণতন্ত্র।'
সমালোচনা করেছিলেন মমতা:
ওই ঘটনায় জামিন পাওয়ার পরে ফের গ্রেফতার করা হয়েছিল সাকেত গোখেলকে। তার আগে একবার দলের সঙ্গে মেঘালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শিলংয়ে সাকেতকে মঞ্চে এনে মমতা বলেছিলেন, 'নেতা হলে ধৈর্য্য থাকতে হয়, সহ্য করতে হয়।'
দিল্লির বঙ্গভবনে অমিত শাহর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ দিল্লি পুলিশের যাওয়া নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল বঙ্গ-রাজনীতি। যাকে কেন্দ্র করে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের, একবার সামনে এসেছিল কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সংঘাত। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২৯শে ডিসেম্বর, দিল্লির চাণক্যপুরীর নিউ বঙ্গভবনে দিল্লি ও গুজরাত পুলিশ কোনও কিছু না জানিয়ে, আচমকা অভিযান চালায়। দিল্লি ও গুজরাত পুলিশের টিম তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে তাঁর ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়। একইসঙ্গে, বঙ্গভবনের সার্ভার রুমে ঢুকে নিয়ে চলে যায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের হার্ডডিস্কও। গোটা ঘটনায় গুজরাত পুলিশ ও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে রাজ্য প্রশাসন। ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসে সম্মানিত হবেন ৯০১ জন পুলিশকর্মী; সাহসিকতা, সেবামূলক কাজে পুরস্কার