কলকাতা: দেশে 'Koo' অ্যাপের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুক্রবার এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ 'কু' -তে যোগ দিয়েছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগেও দেশের অনেক নামকরা নেতা এই জনপ্রিয় অ্যাপে যোগ দিয়েছেন। এমনকী প্রধানমন্ত্রী মোদী মন কি বাত- এই 'কু' অ্যাপের কথা উল্লেখ করেছেন।
মোদী তাঁর 'মন কি বাত' প্রোগ্রামে 'কু' অ্যাপ নিয়ে আলোচনাও করেছেন। সম্প্রতি, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা এবং বিহার সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজপ্রতাপ যাদবও 'কু' অ্যাপে যোগ দিয়েছেন। গত কয়েক মাসে রাজনীতি, বিনোদন এবং খেলাধুলা ক্ষেত্রের অনেক সেলিব্রেটি এই অ্যাপে যোগদানের দিকে ঝুঁকেছেন। এরই মধ্যে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কু অ্যাপে যোগ নিয়ে বেশ চর্চাও চলছে।
তবে শুধু অভিষেক নন, এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অনেক মন্ত্রীই। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং রবিশঙ্কর প্রসাদ-সহ অনেক সরকারী বিভাগ 'কু' অ্যাপে তাদের অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছিল। প্রসঙ্গত, যে সময় এই কু অ্যাপটি বাজারে আসে, সেই সময় সরকার এবং টুইটারের মধ্যে বিরোধ চলছিল প্রবলবভাবে। কেবল বিজেপি নেতারা নন, রাজস্থানের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও মে মাসে এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছিলেন।
'কু' অ্যাপে শব্দ ব্যবহারের সর্বোচ্চ সীমা ৪০০। এই 'কু' অ্যাপটিকে টুইটারের বিকল্প হিসেবে দেখা হয়। এই অ্যাপটি ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল। সরকারের স্বনির্ভর অ্যাপ ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ জেতার পর, 'কু' অ্যাপ নিয়ে চারদিকে আলোচনা শুরু করে। 'কু' অ্যাপে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ব্যবহারকারীরা দেশ ও বিশ্ব সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন।
এদিকে, ফের ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বুধবার থেকে জ্বলছে ত্রিপুরা। সিপিএম পার্টি অফিস থেকে শুরু করে সিপিএম নেতা কর্মীদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত এই রাজ্য। ইতিমধ্য়েই ত্রিপুরায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এবার সেই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল তারা। ১৫ সেপ্টম্বর বুধবার ত্রিপুরা যাচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শুক্রবার একথা ট্যুইট করে জানান তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।