নয়াদিল্লি: অলিখিত ভাবে তৃণমূলে (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)উত্তরাধিকার তিনি। আগামী বদিনে বাংলার রাজনীতিতেও তাঁর মসনদ পাওয়া পাকা বলে দাবি করেন ঘনিষ্ঠবৃত্তের লোকজন। বিশেষ করে ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) বিরোধী শিবিরে তৃণমূলের সক্রিয়তা দেখে বার বার উঠে এসেছে এই দাবি। মমতা জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হলে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) দেখা যেতে পারে বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী হতে কি আদৌ ইচ্ছুক খোদ অভিষেক! এবিপি নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন নিজেই।
এবিপি নিউজের প্রতিনিধি মনোজ্ঞা লোইওয়ালের সঙ্গে কথোপকথনে অভিষেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা উঠে আসে। তাতে অভিষেক জানান, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয় বারের জন্য বাংলায় যখন জয়ী হল তৃণমূল, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হলেন তিনি, সেই সময়ই নিজের মনোভাব জানিয়ে রেখেছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন, দলের সাধারণ কর্মী তিনি। সংগঠনের কাজ নিয়েই খুশি। বাংলার বাইরে একাধিক রাজ্যে দলের শিকড় বিস্তারের কাজই করবেন।
অভিষেকের কথায়, "এক থেকে ১০ রাজ্যে কী ভাবে নিয়ে যাওয়া যায় তৃণমূলকে, তার কাজ করছি। সংগঠনকে বড় করা মুখের কথা নয়, সন্তানকে বড় করে তোলার মতো। বাংলা থেকে অবশ্যই দিদি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বড় ভূমিকায় উঠে আসুন, চাই আমি। তার মানে এই নয় যে, নিজেরে মুখ্য়মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। আমি দলকে বর্ধিত হতে দেখতে চাই। প্রাপ্ত ভোট কম হলেও, এক থেকে পাঁচ রাজ্যে ইউনিট হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে সেটিকে ১০-১২ রাজ্যে করতে চাই আমি। "
তৃণমূলের সাংসদ হিসেবে যত না সমালোচনার মুখে পড়েন অভিষেক, তার চেয়ে অনেক বেশি মমতার ভাইপো হিসেবে কটাক্ষ, বিদ্রুপের শিকার হতে হয় তাঁকে। বিরোধী শিবিরের নেতারা তো বটেই, সমাজমাধ্যমে নানা রকম মন্তব্য করেন বহু মানুষ। সে সব যদিও গায়ে মাখেন না অভিষেক। তাঁর যুক্তি, গণতান্ত্রিক দেশে সকলের কথা বলার অধিকার রয়েছে। যে,যা ইচ্ছে বলতে পারেন। তাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন না তিনি।
তাই তাঁকে বিদ্রুপই করুন কেউ বা ঘৃণামিশ্রিত বাক্যবাণ ছুড়ে দিন তাঁর দিকে, তিনি নিজের কাজ নিয়েই ডুবে থাকেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, বিদ্রুপকারীরা কী বলবেন, তা নিয়েও যদি তাঁকে মাথা ঘামাতে হয়, তাহলে বিদ্রুপকারীদের আর কাজ কী রইল! যে কোনও সময়, যে কেউ, যা ইচ্ছে তাই বলতেই পারেন, তাতে মাথা দেওয়ার সময় তাঁর নেই বলে জানিয়েছেন অভিষেক।