নয়া দিল্লি : অসম-মিজোরাম সীমান্তে সংঘর্ষ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। এবার এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও' ব্রায়েন। তিনি বলেন, "সবার নজর এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দিকে। কারণ, দিনকয়েক আগেই তিনি উত্তর-পূর্বে গিয়েছিলেন। একদিনে তাঁর অযোগ্যতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।"


এর পাশাপাশি তিনি অসম-মিজোরাম সীমানা সংঘর্ষ নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইটও রি-ট্যুইট করেন। অভিষেক ট্যুইটারে লিখেছেন, অসম-মিজোরাম সীমানায় হিংসার ঘটনায় স্তম্ভিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের চোখের সামনে এই ধরনের ঘটনা গণতন্ত্রের মূলেই আঘাত করে।


সংঘর্ষের জেরে গতকালই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অসম-মিজোরাম সীমানা অঞ্চল। মৃত্যু হয় অসম পুলিশের ছয় জওয়ানের। উত্তেজনা ছড়ায় অসম-মিজোরাম সীমানার ভাইরেনতে। যা নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন দুই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অমিত শাহের হস্তক্ষেপও দাবি করেন তাঁরা। 


সীমানা নিয়ে বিবাদ দীর্ঘদিনের। আর তা নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল অসম-মিজোরাম সীমানা এলাকা কোলাশিবের ভাইরেনতে। ঝরল রক্ত-ও। মৃত্যু হল অসম পুলিশের ছয় জওয়ানের। আর এই ঘটনা ঘিরে বিবাদে জড়িয়েছে মিজোরাম ও অসম সরকার। মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ট্যুইটে দাবি করেছেন,কোলাশিবের পুলিশ সুপার যখন CRPF ক্যাম্পে অসম পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন, তখন অসম পুলিশ গুলি চালায়, টিয়ার গ্যাসের গ্রেনেডও ছোড়ে। জবাবে গুলি চালায় মিজোরাম পুলিশ। শনিবারই, শিলংয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপরই, মিজোরাম পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, রবিবার মিজোরামের ভাইরেনতে-তে ছ’টি কৃষকদের কুঁড়েঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তখন থেকেই উত্তপ্ত অসম-মিজোরাম সীমানার পরিস্থিতি। 


এদিকে ট্যুইটারে বিবাদে জড়িয়েছেন দুই পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দু’জনই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অমিত শাহের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। বিজেপি ও তার জোট সঙ্গী মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা ট্যুইটে এই ভিডিও পোস্ট করে বলেন, অমিত শাহজি, দয়া করে এই বিষয়টি দেখুন। এটা অবিলম্বে থামাতে হবে।