নয়াদিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা (PM Narendra Modi's Educational Qualification) প্রকাশ্যে আনার চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সদস্য সাগরিকা ঘোষ (TMC MP Sagarika Ghose)। প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিজের BA (ইতিহাস) ডিগ্রি সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করেন তিনি (তৃণমূল সাংসদ)। প্রধানমন্ত্রীর আন্ডারগ্রাজ্যুয়েট রেকর্ড খতিয়ে দেখার অনুমতি দেওয়ার জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল সেন্ট্রাল ইনফরমেশন কমিশন। ২০১৬ সালের সেই নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্ট বাতিল করে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন সাগরিকা। পোস্টে প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, "প্রিয় মোদিজি। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। এখানে আমার বিএ ডিগ্রি দিলাম। প্রত্যেকের দেখার জন্য আপনার কলেজ ডিগ্রি পোস্ট করুন। একটি গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হয়ে, আপনার কি লুকানোর আছে ? আপনার শিক্ষা নিয়ে এত গোপনীয়তা কেন, মোদিজি ?"

 

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের এই পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। নিজের কলেজ ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনায় অনেকেই সাগরিকার প্রশংসা করেছেন এবং দেশের নেতাদের কাছ থেকে জবাবদিহি চেয়েছেন। অনেকে আবার এটিকে অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক প্ররোচনার আখ্যা দিয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আরও বলেছেন যে, এই ধরনের বিতর্ক কেবল আসল বিষয়গুলি থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেয় এবং কিছুজন জোর দিয়ে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সম্পর্কে স্বচ্ছতা জনস্বার্থের বিষয়।

 

কিছু সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী আবার কমেন্ট সেকশনে গিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বি.এ. ডিগ্রিও শেয়ার করেছেন। ২০১৬ সালে বিজেপি এই ডিগ্রিটি প্রকাশ করেছিল, যার পরে ডিগ্রির সত্যতা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ওঠে। ২০২১ সালের শুরুর দিকে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছিল যে, বিজেপি কর্তৃক প্রচারিত বি.এ. ডিগ্রিটি খাঁটি এবং প্রধানমন্ত্রীর স্নাতক ডিগ্রি সম্পর্কিত সমস্ত প্রাসঙ্গিক রেকর্ড রয়েছে। তারা ১৯৭৯ সালের উল্লেখকে একটি ছোটখাট ভুল বলে অভিহিত করেছিল, কারণ তিনি এক বছর আগেই পাস করে গিয়েছিলেন।