কলকাতা : বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবি উঠল। দলের তরফে ফের এই দাবিতে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে ফোন করেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এব্যাপারে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অধ্যক্ষ জানান, খুব তাড়াতাড়ি এব্যাপারে একটি কমিটি গড়া হচ্ছে। সেই কমিটি গড়ে সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারীকে ডাকা হবে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সেই সময় ডাকা হবে, তাঁর বক্তব্য শোনা হবে। 


অন্যদিকে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যক্ষকে বলেন, সংসদীয় ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। ওঁদের ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হোক, ওঁরা কোন দলে আছেন। তাহলেই তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়ে যাবে। এই সংক্রান্ত পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাঁদের কাছে বলে জানান সুদীপ।
  
একই দাবিতে গত ৩ জুনও লোকসভার স্পিকারকে ফোন করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন কথা বলার পর সুদীপ জানান, শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আবেদন জানুয়ারিতেই করেছি। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতেও আবেদন করেছি। এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।'


বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূলের দুই সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একজন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল।  অপরজন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। এই দু’জনেরই সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। 


এর আগে এই ইস্যুতে কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারী, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁদের সাংসদ পদ খারিজ করতে হবে। এর জবাবে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তৃণমূলের এসব শোভা পায় না। ২০-২৫ জন বিধায়ককে ইধার-উধার থেকে এনেছে। পাশাপাশি, শাসক-বিরোধী তরজা বেধেছে রাজ্যসভার মনোনয়ন পদ নিয়েও। বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার একমাসের মাথায় পরাজিত বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তকে ফের রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি। এনিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর তরজা।