আমদাবাদ : ফের গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে (Saket Gokhale)। সাকেতকে ফের গ্রেফতার করল গুজরাত পুলিশ । তহবিলের টাকা তছরুপ মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র।


মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর নরেন্দ্র মোদির সফরের খরচ সংক্রান্ত একটি ট্যুইট করায়, দিনকয়েক আগে সাইবার আইনে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। সেই মামলায় জামিন পেতেই, তাঁকে ফের গ্রেফতার করে বিজেপি শাসিত গুজরাতের পুলিশ। সাইবার আইনের পর এবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে। চারদিনে দুবার গ্রেফতার, দুবারই জামিন পান তিনি।


রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক-


বিজেপি শাসিত গুজরাতে, তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলের পরপর গ্রেফতারি ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। এই ঘটনার পর গুজরাতের মোরবিতে পৌঁছয় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন সাংসদ দোলা সেন, শান্তনু সেন, খলিলুর রহমান, অসিত মাল ও সুনীল মণ্ডল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মোরবিতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। শুধু তা-ই নয়, গ্রেফতারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয় তৃণমূল। দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে যায় তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ভাঙা হয়েছে, এই অভিযোগে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানায় তৃণমূল। 


এনিয়ে ট্যুইটারে সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, 'মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে দু'বার সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ (Gujrat Police)। তাও আবার আদর্শ আচরণবিধি থাকার মধ্যেই। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। বিজেপির আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছে। নড়বড়ে অবস্থায় গণতন্ত্র।'


শুধু তা-ই নয়, সাকেত গোখলেকে মঞ্চে ডেকে নিয়ে এসে সম্প্রতি সরব হন দলনেত্রীও। সাকেতকে শিলংয়ের মঞ্চে এনে নাম না করে মোদিকে কটাক্ষ করেন মমতা। তাঁর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বলেন, 'নেতা হলে ধৈর্য্য থাকতে হয়, সহ্য করতে হয়।'


পাল্টা ট্যুইটে আক্রমণ শানান বিজেপির মিডিয়া সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি লেখেন, তৃণমূলের মুখপাত্র সাকেত গোখলে স্বভাবসিদ্ধ অপরাধী। তিনি ভাবছেন, আক্রান্ত হওয়ার অভিনয় করলে, অপরাধ ধুয়ে যাবে। সেটা হবে না। তিনি যা পোস্ট করেছেন, সেটা শুধু ভুল নয়, বিদ্বেষপূর্ণ। উদ্দেশ্য ছিল আবেগপ্রবণ বিষয়কে কাজে লাগিয়ে, অশান্তি তৈরি করা। এটা ক্ষমার অযোগ্য। আইন আইনের পথে চলবে।


আরও পড়ুন ; জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ভেঙে সাকেতকে গ্রেফতারের অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল