কলকাতা: সাকেত-ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ভেঙে সাকেতকে গ্রেফতারের অভিযোগ। কাল নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূলের ৫ সদস্যের সংসদীয় দল। প্রতিনিধি দলে আছেন সৌগত, কল্যাণ, ডেরেক, সুখেন্দুশেখর ও মৌসম।                                                                                   


প্রথম মামলায় জামিন পেতেই ফের গ্রেফতার! সাইবার আইনের পর এবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রকে গ্রেফতার করল গুজরাত পুলিশ। যা নিয়ে চরমে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মোরবিতে গেল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সংসদে সরব হল এ রাজ্যের শাসকদল। যদিও এদিন দ্বিতীয় মামলাতেও জামিন পান সাকেত গোখলে। 


সাকেত গোখলে দাবি করেছেন, "অন্য কারওর করা একটি টুইট শেয়ার করার জন্য একটি তুচ্ছ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হল, সেই ব্যক্তি কে তা পুলিশের কাছে কোনও সূত্র নেই। উদ্দেশ্য ছিল আমাকে টার্গেট করা, আমাকে জেলে ভরা এবং আমাকে আটকে রাখা।"                                                                                                                 


আরও পড়ুন, বায়োমেট্রিক মেশিন 'খারাপ', টেট পরীক্ষায় 'অব্যবস্থার' অভিযোগ, দেশপ্রিয় পার্কের তীর্থপতি ইনস্টিটিউশনে অশান্তি


"  মোরবি ব্রিজ ভেঙে পড়ার বিষয়ে একটি টুইট করার জন্য আমাকে ৩ দিনে দুবার গ্রেফতার করা হয়। এবং আজ পর্যন্ত, ওরেভা কোম্পানির (Oreva company)মালিকরা, যারা ত্রুটিপূর্ণ ব্রিজটি তৈরি করেছিল তাদের কারও একটি এফআইআর-এও নাম নেই।"  মন্তব্য তৃণমূল নেতার।                                                                                         


মোরবি সেতু বিপর্যয়ের পর নরেন্দ্র মোদির সফরের খরচ সংক্রান্ত একটি ট্যুইট করায়,  মঙ্গলবার প্রথম সাইবার আইনে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশ। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় জামিন পেতেই, তাঁকে ফের গ্রেফতার করে বিজেপি শাসিত গুজরাতের পুলিশ।সাইবার আইনের পর এবার জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে। এরপরই, ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের নির্দেশে, এদিন গুজরাতের মোরবিতে পৌঁছোয় তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার পাঁচ সাংসদের প্রতিনিধিদল।