দিনহাটা : ভেটাগুড়ি ১ নং পঞ্চায়েত। দিনহাটায় একমাত্র এই পঞ্চায়েতটিই বিজেপির দখলে ছিল। এবার এর দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও সদস্যদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।


২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার হিড়িক। দিনহাটা মহকুমায় বিজেপির হাতে থাকা একমাত্র ভেটাগুড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবারই এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ বিজেপি সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন । রবিবার উদয়ন গুহর উপস্থিতিতে আরও ৪ জন বিজেপি সদস্য শাসকদলে যোগ দেন।


এর জেরে ১০ সদস্যের এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯টি আসনই বর্তমানে চলে গেল তৃণমূলের দখলে। বাকি একটি আসন রইল বিজেপির হাতে। ভেটাগুড়ি ১ নম্বর পঞ্চায়েতের দলত্যাগী প্রধান রতন বর্মন বলেন, "আমরা তৃণমূলের টিকিটেই জিতেছিলাম। পরে বিজেপিতে যাই। একসঙ্গে কাজ করার জন্য তৃণমূলে ফিরলাম।" অন্য দলত্যাগীদের বক্তব্য, স্থানীয় মানুষদের উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা।


কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের কো-অর্ডিনেটর উদয়ন গুহ বলেন, "গতকালই বলেছিলাম সময়ের অপেক্ষা। ১০ জনের মধ্যে ৯ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হয়ে গেলেন। আর একজন আছেন। তাঁকে আমরা দলে নেব না।"


অন্যদিকে কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, যাঁরা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন তাঁদের ভয় দেখিয়ে , জোর করে নিয়ে নেওয়া হয়েছে।  


শেষ বিধানসভা ভোটে এই দিনহাটা আসন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহকে ৫৭ ভোটে হারিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। অথচ ফল প্রকাশের এক মাস পার হতে না হতেই পঞ্চায়েতে দেখা গেল উল্টো চিত্র। 


এদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের পর দিনহাটার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, "ব্যবসায়ীর সমিতির কাছে আবেদন, সংগঠন থেকে সমাজ বিরোধীদের ছেঁটে ফেলুন। না হলে খেসারত দিতে হবে।" এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দিনহাটা মহকুমায় ব্যবসায়ী সমিতির তরফে দাবি করা হয়েছে, যাঁদের কথা বলা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।