নয়াদিল্লি: বাঘের গলায় মালা পরানোর মতোই কুমিরের ডেরায় ঢুকেছিলেন। কিন্তু জলজ্যান্ত কুমিরে স্ট্যাচু ভেবে ভুল করেছিলেন। সেই ভুলের ভয়ঙ্কর খেসারত দিতে হল এক যুবককে। তাঁকে কামড়ে ধরে জল তোলপাড় করে ফেলল কুমির। চিড়িয়াখানার কর্মীর তৎপরতায় কোনও রকমে প্রাণ নিয়ে ফিরেছেন ওই যুবক। কিন্তু তাঁর শরীরে কমপক্ষে ৫০টি সেলাই পড়েছে। (Crocodile Attack)
ফিলিপিন্সের জামবোয়াঙ্গা সিবুগের চিড়িয়াখানায় এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। ২৯ বছরের এক পর্যটককে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার মাশুল গুনতে হল সেখানে। জানা গিয়েছে, কুমিরের ডেরার বাইরে বাকি সকলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই যুবক। বাইরে থেকে একটি কুমিরকে দেখে স্ট্যাচু ভেবে বসেন তিনি। সেই মতো সেলফি তুলতে উদ্যত হন। (Philippines News)
চিড়িয়াখানায় ওই সময় উপস্থিত আর এক পর্যটক গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, কাঁটাতারের বেড়া টপকে কুমিরের ডেরায় ঢুকে পড়েন ওই যুবক। জলে নেমে সেলফিও তুলতে শুরু করেন। কিন্তু যেটিকে স্ট্যাচু ভেবে ভুল করেছিলেন তিনি, সেটি হঠাৎই নড়ে ওঠে। দেখা যায়, স্ট্যাচু নয়, আসলে সেটি একটি স্ত্রী কুমির।
ওই যুবককে নাগালের মধ্যে পেয়েই ঝাঁপিয়ে পড়ে Lalay নামের কুমিরটি। যুবকের হাতে প্রথমে দাঁত বসায় কুমিরটি। তাঁর উরুও কামরে ধরে। জলের মধ্যে যুবককে উল্টেপাল্টে ফেলতে থাকে। যুবককে কার্যত ছিঁড়ে ফেলেত উদ্যত হয় কুমিরটি। সেই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠেন পর্যটকরা সকলেই।
প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সকলের চোখের সামনে ওই ঘটনা ঘটতে থাকে। যুবকের আর বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে ধরে নেন সকলে। শেষ পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় কুমিরটির দেখভাল করেন যিনি, তিনি এগিয়ে যান। ইঁটের মতো কিছু একটা দিয়ে কুমিরটির মাথায় আঘাত করেন তিনি। এতে কুমিরটি গ্রাস থেকে মুক্ত হয়ে যান ওই যুবক। চারিদিক তখন রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি চিকিৎসাকর্মীরা ওই যুবকের ক্ষতস্থান ঢাকতে শুরু করেন।
এর পর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। সেখানে তাঁর শরীরে ৫০টিরও বেশি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফিলিপিন্সের স্থানীয় প্রশাসন ওই যুবকের তীব্র নিন্দা করেছেন। তাঁদের মতে, নিজের জীবন তো যেতই। অন্য পর্যটকরাও ওই যুবকের জন্য বিপদে পড়তে পারতেন। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।