নয়াদিল্লি: কেদারনাথের পর আজ থেকে খুলে গেল বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়োয়াল রাইফেলসের ব্যান্ডের সুরে, পুণ্যার্থীদের জয়ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির চত্বর। পুষ্পবৃষ্টির মধ্যে দিয়ে পুণ্যার্থীদের বদ্রীনাথ ধামে স্বাগত জানানো হয়। ৪০ কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে বদ্রীনাথ মন্দির। পুজো দেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।

আরও পড়ুন, বিছানার উপর বই-খাতা এখনও খোলা, রহড়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর রহস্যমৃত্যু ! কীভাবে এল দেহে আঘাতের চিহ্ন ?

 আজ থেকে খুলে গেল বদ্রীনাথ মন্দিরের দরজা, এ বছর এখনও পর্যন্ত ২২ লক্ষ পুণ্যার্থীর বদ্রীনাথ ধাম দর্শনের কথা

এ বছর এখনও পর্যন্ত ২২ লক্ষ পুণ্যার্থীর বদ্রীনাথ ধাম দর্শনের কথা। অক্ষয় তৃতীয়া থেকে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। কেদারনাথ মন্দিরের পাশাপাশি উত্তরকাশীতে গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী মন্দিরও খুলেছে। যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ--এই চারধাম যাত্রায় প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন। যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ হয়ে বদ্রীনাথ দর্শন করে শেষ হয় চারধাম যাত্রা।

তীর্থযাত্রার চারটি পবিত্রস্থান হল যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী,  কেদারনাথ, বদ্রীনাথ

মূলত ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়া থেকে চারধাম যাত্রা শুরু হয়। এই তীর্থযাত্রার চারটি পবিত্রস্থান হল যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী,  কেদারনাথ, বদ্রীনাথ। ভক্তরা চারধাম যাত্রা শুরু করেন যমুনোত্রী থেকে। তারপর গঙ্গোত্রী ও কেদারনাথ ধাম হয়ে শেষ হয় বদ্রিনাথ ধামে। ছয় মাস বন্ধ থাকার পর, গত  শুক্রবার সকালে পুনরায় খুলে যায় কেদারনাথ মন্দিরের দরজা।  শুক্রবার সকালে তীর্থযাত্রীদের জন্য খুলে যায় কেদারনাথের দরজা। সেদিনও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং কেদারনাথ মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন। তীর্থযাত্রীদেরকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তিনি। কুইন্টাল কুইন্টাল ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল কেদারনাথ মন্দির। 

ফুল দিয়ে গোটা মন্দির ঘিরে ফেলা হয়

মন্দির খোলার পর নিয়ম মেনেই পুজো দেন অসংখ্য ভক্ত। হিন্দু ধর্মে এই চারধাম যাত্রার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিবছর মূলত এপ্রিল-মে থেকে এই যাত্রা শুরু হয়। আর শেষ হয় অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। বিশ্বাস করা হয় যে একজন ভক্ত ঘড়ির কাঁটার দিক নির্দেশ মেনে এই পবিত্র যাত্রা সম্পূর্ণ করে থাকেন। ২ মে সকাল ৭ টায় শুরু হয় ঢোলের আওয়াজ। জানা গিয়েছে, ১০৮ কুইন্টাল ফুল দিয়ে গোটা মন্দির ঘিরে ফেলা হয়। ছয় মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় খুলে গেল কেদারনাথ মন্দিরের দরজা। ভোর রাত থেকেই ভক্তরা অপেক্ষা করছিলেন।