শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদী রিয়াজ নাইকু ও তার সহযোগী এনকাউন্টারে খতম হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে নিরাপত্তাবাহিনী। পুলওয়ামার অবন্তীপোরার বেগপোরা গ্রামে তার নিধন এলাকায় স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে বিরাট ধাক্কা দিল বলে মনে করা হচ্ছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট এই হিজবুল শীর্ষ কমান্ডারের গতিবিধির ওপর গত ৬ মাস ধরে নজরদারি চলছিল। একথা জানিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের আইজি (কাশ্মীর রেঞ্জ) বিজয় কুমার বলেছেন, নাইকু হিজবুলের হয়ে যুবকদের রিক্রুট করার চেষ্টা করছিল, সাধারণ নাগরিকদের হত্যায়ও যুক্ত ছিল বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ওকে মারতে সফল আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য আমরা গর্বিত। স্বস্তি পাওয়া গেল। নাইকুর ৬টা ডেরার খোঁজ মিলেছিল, কিন্তু কোথাও ওকে হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়নি, অবশেষে সপ্তম ডেরায় ওকে বাগে পাওয়া যায়।
পাশাপাশি উপত্যকায় সন্ত্রাসদমন অভিযানের মাত্রা বাড়বে, জঙ্গি মোকাবিলায় কোনও খামতি থাকবে না বলেও জানিয়ে দেন শীর্ষ পুলিশকর্তা।
চলতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের হাতে কার্ফু, যোগাযোগের মাধ্য়মগুলি বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। এত গুজব, ভুয়ো খবরের ছড়াছড়ি হয় যে আমরা এক্ষেত্রে ইন্টারনেট, ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিই।
এদিকে পাছে নাইকুর মৃত্যুকে হাতিয়ার করে সন্ত্রাসবাদীরা লোকজনকে ক্ষেপিয়ে তুলে অশান্তি ছড়ায়, সেজন্য তার ও তার সঙ্গীর দেহ আত্মীয়স্বজনদের না দিয়ে প্রশাসন অজ্ঞাত স্থানে শেষকৃত্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাছাড়া নাইকুর সঙ্গে যেখানে গতকাল এনকাউন্টার হয়, সেখানে নিরাপত্তাবাহিনীর গাড়িতে স্থানীয় যুবকদের ইট-পাথর ছোঁড়ার পরিপ্রেক্ষিতেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিজয় কুমার বলেন, হান্ডওয়ারা রেড জোন বলেও এক সাধারণ নাগরিকের দেহও তার পরিবারকে দেওয়া হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত থাকা পর্যন্ত কোনও স্থানীয় সন্ত্রাসবাদীর দেহও তার পরিবারকে দেওয়া হবে না।
২০২০-র জানুয়ারি থেকে ২৭টি অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনী ৬৪জন জঙ্গিকে খতম করেছে, ২৫জন সক্রিয় জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানান তিনি। এও জানান, সম্প্রতি দি রেজিস্ট্যান্স ফোর্স (টিআরএফ) নামে যে নতুন গোষ্ঠী সামনে এসেছে,তারা লস্কর-ই-তৈবারই, পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ তৈরি হওয়ার পরই নতুন নামের আড়ালে চলে গিয়েছে লস্কর।