কটক :  বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার ঘা দগদগে। বহু মৃহদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। বহু পরিবার এখনও খোঁজ পায়নি কাছের মানুষের। কিছু পরিবার প্রিয়জনের প্রাণহীন দেহের অপেক্ষায়। এরই মধ্যে ফের দুর্ঘটনা। সেই  ওড়িশাতেই। আরেকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে বলে খবর। ঘটনাটি ঘটেছে বারগড় জেলায়। 


কয়েকটি ওয়াগন লাইনচ্যুত


সূত্রের খবর, বারগড়ে চুনাপাথর বহনকারী একটি পণ্যবাহী ট্রেনের বেশ কয়েকটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেই আপাতত খবর। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


 দুর্ঘটনার দায় কার


সোমবার ওড়িশার বারগড়ে একটি বেসরকারী সিমেন্ট কোম্পানির একটি পণ্যবাহী ট্রেনের ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে বলে খবর। বারগড় জেলার মেধাপালির কাছে কারখানা চত্বরে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এ বিষয়ে রেলওয়ের কোনও ভূমিকা নেই বলে সোমবার জানিয়েছে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে। সূত্রের খবর,  এটি সম্পূর্ণভাবে একটি প্রাইভেট সিমেন্ট কোম্পানির ন্যারো গেজ সাইডিং। রোলিং স্টক, ইঞ্জিন, ওয়াগন এবং ট্রেন ট্র্যাক (ন্যারো গেজ) সহ সমস্ত পরিকাঠামো কোম্পানি দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় বলে ইস্ট কোস্ট রেলওয়ে জানিয়েছে।


"ডুংরি চুনাপাথর খনি এবং এসিসি বারগড়ের সিমেন্ট প্ল্যান্টের মধ্যে একটি ব্যক্তিগত ন্যারো গেজ রেললাইন রয়েছে। লাইন, ওয়াগন এবং লোকো সবই ব্যক্তিগত। এটি কোনওভাবেই ভারতীয় রেল ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত নয়। ভোরে ওই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়।  


অন্যদিকে,  ৫১ ঘণ্টা পর বাহানাগায় (Bahanaga ) গড়াল ট্রেনের চাকা। ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident )৩ দিনের মাথায়, আপ ও ডাউন দুটি লাইনেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সকালে পুরী-শালিমার জগন্নাথ এক্সপ্রেস ও পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস ধীর গতিতে নতুন লাইনের ওপর দিয়ে পাস করে। অভিশপ্ত ওই এলাকা ধীর গতিতে পেরোয় হাওড়া-পুরী বন্দে-ভারত এক্সপ্রেসও। হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০-এ প্রথম ছাড়ে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এরপর হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস রওনা দেয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আজ থেকে হাওড়া-ভদ্রক রুটে সবকটি ট্রেনই চলছে। শুধুমাত্র হাওড়া-ব্য়াঙ্গালোর যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেসের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। বেলা ১০টা ৫০-এর পরিবর্তে হাওড়া থেকে দুপুর ৩টেয় ছাড়বে। রাত ১০টা ৪০-এ ডাউন লাইনে প্রথমে একটি মালগাড়ি চালানো হয়। আপ লাইনে প্রথম ট্রেন চালানো হয় রাত ১২টা ৫-এ। পরীক্ষামূলকভাবে আপ ও ডাউন লাইনে মালগাড়ি চালানোর পর, সকাল থেকে শুরু হয় যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।