নয়াদিল্লি: ট্রেনের দেরির জন্য ফ্লাইট মিস হওয়ায় যাত্রীকে ৩০,০০০টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। যাত্রীদের এই সমস্যার জন্য ভারতীয় রেল (Indian Railways)কে 'ভৎর্সনা' করেছে শীর্ষ আদালত। যাত্রীদের সময় যে মূল্যবান তা রেল কর্তৃপক্ষকে মনে রাখতে বলেছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।


এই মামলা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ট্রেনে দেরি হলে তার যথাযথ কারণ দর্শাতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে। অনথ্যায় যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ভারতীয় রেলকে। এই নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানালেই রেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। মামলার পর্যবেক্ষণে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস বলেন, ''বর্তমানে প্রতিযোগিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার দিনে বাস করছি আমরা। প্রাইভেট পরিবহণের সঙ্গে পাল্লা দিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্টকে আরও উন্নত পরিষেবা দিতে হবে। সবথেকে বড় বিষয়, নিজেদের কর্মসংস্খৃতির পরিবর্তন করতে হবে সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থাকে। যাত্রীরা কখনোই কারও দয়ার পাত্র হতে পারেন না। ট্রেন দেরি করলে কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতেই হবে।''


ক্ষতিপূরণের পিছনে আসলে কোন ঘটনা ?
এই ক্ষতিপূরণ মামলার সূত্রপাত সঞ্জয় শুল্কা ও তাঁর পরিবারকে ঘিরে। ২০১৬ সালের ১১ জুন ঘটে এই ঘটনা। যেখানে শ্রীনগর যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন শুক্লা ও তাঁর পরিবার। ১১ জুন জম্মু থেকে বিমানে শ্রীনগর যাওয়ার কথা ছিল তাদের। যদিও ট্রেন ৪ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছনোয় বিমান মিস করেন তাঁরা। যার জেরে ১৫,০০০টাকার ট্যাক্সি ভাড়া করে শ্রীনগর যেতে হয় সঞ্জয়ের পরিবারকে। শ্রীনগরে থাকতে অতিরিক্ত ১০,০০০টাকা দিতে হয় তাঁদের। 


পাল্টা কী বলে রেল ?
এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা যুক্তি দেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি। আদালতকে তিনি জানান, Indian Railway 
Conference Association Coaching Tariff No. 26 Part-I (Volume-I)অনুসারে ট্রেনে দেরি হলে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায় নেই রেলের। রুল ১১৪ ও ১১৫ তেই তা স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে। যদিও রেলের এই যুক্তি মেনে নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে জেলা, রাজ্য তথা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের নির্দেশকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ট্রেনি দেরি হওয়ায় বিমান মিস করার জন্য অভিযোগকারীকে ৩০,০০০টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলে আদালত। সঙ্গে টাকা না পাওয়া পর্যন্ত তার ৯ শতাংশ  সুদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে রেলকে।