নয়াদিল্লি : ট্রেন চালকদের (Train Drivers) জন্য বড় সিদ্ধান্ত। রেলওয়ে বোর্ডের (Railway Board) তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের কাজের সর্বোচ্চ মেয়াদের সময়সীমা। কোনওভাবেই যাতে ট্রেন চালকদের কাজের সময় ১২ ঘণ্টার বেশি না হয়, সেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে রেল বোর্ডের তরফ থেকে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অত্যন্ত আপদকালীন পরিস্থিতি ছাড়া কোনওভাবেই যেন ১২ ঘণ্টার বেশি না হয় ট্রেন চালকদের কাজের সময়। ভূমিকম্প, বন্যা, ট্রেন অবরোধ থেকে ট্রেনের সরঞ্জামের সমস্যাকে আপদকালীন পরিস্থিতি হিসেবে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
রেলের কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিশেষ এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। ভারতীয় রেলের সব ডিভিশনের রেল চালকদের পাশাপাশি গার্ডদের ক্ষেত্রেও কাজের সময়সীমা ঠিক কতটা হবে, তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে রেল বোর্ডের তরফে। যদিও রেলের নয়া বিজ্ঞপ্তি মোটেই খুশি নয় রেল চালকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকে রানিংমেন অর্গানাইজেশন (IRLRO)। তাঁদের বক্তব্য, এই নতুন কাজের মেয়াদের সময়সীমার জেরে রেল চালকদের কাজ ও ব্যক্তি জীবনের মধ্যে সময়ভাগের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি তাঁদের বরাদ্দ দুপুরের খাবার সময়েও পড়বে প্রভাব।
ট্রেন চালকদের সংগঠনের দাবি, একটানা কাজের মেয়াদ কখনই ৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। যেহেতু বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একটানা ১২ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না ট্রেন চালকরা, আবার অন্যদিকে বলা হয়েছে, আপদকালীন পরিস্থিতিতে তার বেশি সময় ধরেও কাজ করতে হবে, সেই প্রসঙ্গই সামনে তুলে ট্রেন চালকদের সংগঠনের বক্তব্য, একটানা ৯ ঘণ্টার বেশি কাজের সময় হওয়া উচিত নয় ট্রেন চালকদের। আর প্রয়োজন থাকলে আগে থেকে সেটা জানিয়ে সর্বোচ্চ আরও ২ ঘণ্টা, তথা একটানা ১১ ঘণ্টা করলে তবেই মানসিক ও শারীরিকভাবে তরতাজা থাকবেন চালকরা।
তাঁদের দাবি, খাতায় কলমে নিয়মের বেড়াজাল থাকলেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কখনও কখনও ১৫ ঘণ্টারও বেশি কাজ করতে হয় ট্রেন চালকদের। রীতিমতো সমীক্ষা সামনে তুলে ধরে তাঁরা জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গাতেই ট্রেন চালকদের অনেক সময়ই বাড়তি সময় ডিউটি করতে হয়। আর তাঁর প্রভাব পড়ে তাঁদের স্বাস্থ্যে। সবথেকে বেশি আশঙ্কা তৈরি হয়, রেলের সুরক্ষা নিয়ে। তাই নতুন বিজ্ঞপ্তির পর গোটা ঘটনাক্রম কোনদিকে এগোয়, সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন- মহালয়ার পুণ্য প্রাতে পূর্বপুরুষকে তৃপ্তি দিতে কীভাবে জলদান ? সংক্ষেপে তর্পণ