তাজমহল তৈরি হয়েছিল মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে। কিন্ত তাজমহল তথা মুঘলদের প্রতি বিরাগ দেখাতে গিয়ে সঙ্গীত সোম ইতিহাসের বিকৃতি করতেও কসুর করেননি। সোম বলেন, ওই সৌধ যিনি তৈরি করেছিলেন তিনি তাঁর পিতাকে বন্দি করেছিলেন এবং হিন্দুদের নিশানা করেছিলেন।
যদিও ইতিহাসে শাহজাহান তাঁর পিতা আকবরকে বন্দি করেছিলেন বলে কোনও প্রমাণ নেই। বরং শাহজাহানকেই মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর ছেলে ঔরঙ্গজেব বন্দী রেখেছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের ভ্রমণ সংক্রান্ত বুকলেটে তাজমহলকে রাখা হয়নি বলে খবর। এই ঘটনা ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই বিতর্ক আরও উস্কে দিয়ে সোম বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের পর্যটন পুস্তিকা থেকে তাজমহলকে বাদ দেওয়ায় অনেকেই ব্যথিত। এটা কী ধরনের ইতিহাস? যে ব্যক্তি তাজমহল তৈরি করেছিলেন তিনি তাঁর বাবাকে বন্দি করেছিলেন, এটাই কি ইতিহাস? আপনারা কি বলবেন যে এটা ইতিহাস যিনি তাজমহল তৈরি করেছিলেন তিনি উত্তরপ্রদেশ ও হিন্দুস্তানে হিন্দুদের নিশানা করেছিলেন’।
সাদধানার বিধায়ক সোম বাবর, আকবর, ঔরঙ্গজেবের মতো মুঘল সম্রাটদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে অভিহিত করে বলেছেন, এদের নাম ইতিহাসের পাতা থেকে মুখে ফেলতে হবে।
এর পাল্টা হিসেবে হায়দরাবাদের সাংসদ ওয়েইসির ট্যুইট, “এই ‘বিশ্বাসঘাতক’রাই লালকেল্লা তৈরি করেছিলেন। মোদী কি সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বন্ধ করবেন? দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের তাজমহল দেখতে যেতে বারণ করবেন মোদী ও যোগী।’’
ওয়েইসি আরও বলেছেন, দিল্লিতে যেখানে বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনা করা হয় সেই হায়দরাবাদ হাউসও ‘বিশ্বাসঘাতক’রাই তৈরি করেছিল। এবার কি সেখানে বিদেশী অতিথিদের অভ্যর্থনা বন্ধ করে দেবেন মোদী?
উল্লেখ্য, শেষ নিজাম ওসমান আলি খান ব্রিটিশদের দেওয়া জমিতে হায়দরাবাদ হাউস তৈরি করেছিলেন।
সোম সিসোলিতে অষ্টম শতকের এক রাজার মূর্তি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোম দাবি করেছিলেন যে, ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের ইতিহাসে মহান করে দেখানো হয়।