নয়াদিল্লি: দেশে শীঘ্রই শিশুদের ওপর কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই খবর জানালেন নীতি আয়োগের সদস্য বিনোদ কে পল। ভ্যাকসিন নিয়ে দেশবাসীর বিভ্রান্তি দূর করতে নেমে এমনই মন্তব্য করেছেন 'ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভিড ১৯' (NEGVAC)-এর চেয়ারপার্সন।


শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে এদিন বিনোদ কে পল বলেন, ''কেন্দ্রীয় সরকার শিশুদের টিকাকরণের জন্য কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না, এরকম ভাবাটা ভুল হচ্ছে। এখনও বিশ্বের কোনও দেশই শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেনি। এমনকী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) শিশুদের কোভিড টিকা দেওয়া নিয়ে কোনও ধরনের সুপারিশ করেনি। তবে শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে গবেষণা এগিয়েছে। যা অনেকটাই ইতিবাচক আশা জাগায়। ''


এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি NEGVAC-এর চেয়ারপার্সন। বিনোদ কে পল বলেন, ''ভারতে শিশুদের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল খুব শীঘ্রই শুরু হবে। যদিও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আতঙ্কের ওপর ভিত্তি করে এই ট্রায়াল শুরু হবে না। কিছু রাজনীতিবিদ এই ধরনের মন্তব্য করে রাজনীতি করতেই পারেন। দেশে গবেষক, বিজ্ঞানীদের ট্রায়াল থেকে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই এই ভ্যাকসিনেশনের শুরু হবে।''


সম্প্রতি দেশে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাব নিয়ে মুখ খোলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মোদি সরকারের ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, ''রাজধানীতে ১৮-৪৪ বয়সিদের জন্য কোনও ভ্যাকসিন মজুত নেই। গত ৪দিন ধরে ১৮ প্লাসদের টিকাকরণের কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। দিল্লির মতো অন্য রাজ্যগুলিরও একই হাল। ভ্যাকসিনের অভাবে টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে তাদের। দিল্লিতে এখন নতুন ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র খোলার কথা। সেই জায়গায় কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে।''


এদিন দেশের এই ভ্যাকসিন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন নীতি আয়োগের সদস্য। তিনি জানান, দেশে স্বচ্ছ নীতি মেনে সব রাজ্যকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। সেখানে রাজ্যগুলিকে কবে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে আগে থাকতেই জানিয়ে দেওয়া হয়। দ্রুত দেশে আরও বেশি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।


দেশের ভ্যাকসিনের বর্তমান সরবরাহ নিয়ে বিনোদ কে পল আরও বলেন, '' নন-গভর্নমেন্ট চ্যানেলের মাধ্যমে রাজ্যগুলি ২৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের ডোজ পাচ্ছে।বাকি ২৫ শতাংশ পাচ্ছে প্রাইভেট হসপিটালগুলি। যখন রাজ্যগুলি ২৫ শতাংশ পাবে জেনেও জনগণের মধ্যে আরও প্রত্যাশা তৈরি করছে তখনই সমস্যা শুরু হচ্ছে। প্রতিদিনই টেলিভিশনে বসে ভ্যাকসিন সাপ্লাই সম্পর্কে কিছু নেতা আতঙ্ক তৈরি করছেন। ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়ে সব জেনেও এই দুর্ভাগ্যজনক কাজগুলি করে চলেছেন কিছু নেতা। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। এই সময় সবার উচিত একসঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামা।''