ট্রেন্ট ব্রিজ : জসপ্রীত বুমরাহের (৫/৬৪) দাপটে সিরিজের প্রথম টেস্টেই জয়ের হাতছানি ভারতের সামনে। খেলার পঞ্চম তথা শেষ দিনে ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যেতে ভারতের প্রয়োজন ১৫৭ রান। হাতে রয়েছে ৯ উইকেট। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৫২ রান। ভারতের প্রথম ইনিংসে লিড পাকা করার নায়ক কেএল রাহুল (২৬) চতুর্থ দিনের শেষে সাজঘরে ফিরে গেলেও আপাতত ক্রিজে রয়েছেন রোহিত শর্মা (অপরাজিত ১২) ও চেতেশ্বর পূজারা (অপরাজিত ১২)।


চতুর্থ দিনের শুরুতে কোনও উইকেট না খুইয়ে ২৫ রানে খেলতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে অধিনায়ক জো রুটের (১০৯) দুরন্ত শতরানে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। ১৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে দুরন্ত শতরান হাঁকানোর পর বুমরাহের শিকার হন রুট। ইংল্যান্ড দলনায়ক ছাড়াও ডম সিবলে, জ্যাক ক্রলি, স্যাম কারেন ও স্টুয়ার্ট ব্রডের উইকেট নেন বুমরাহ। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন মহম্মদ সিরাজ (২/৮৪), শার্দুল ঠাকুর (২/৩৭) ও মহম্মদ সামি (১/৭২)।


জসপ্রীত বুমরাহের ৪ উইকেটের সুবাদেই প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। সেক্ষেত্রেই জো রুট শুধুমাত্র অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকাতে পেরেছিলেন। যার পর ব্যাট করতে নেমে কেএল রাহুল (৮৪) ও রবীন্দ্র জাদেজার (৫৬) অর্ধশতরানে ভর করে প্রথম ইনিংসে ২৭৮ রান তুলেছিল ভারত। শেষপর্বে বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঝোড়ো ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ভারতের ৯৫ রানের অতি গুরুত্বপূর্ণ লিড পাকা করেছিলেন বুমরাহ।


ব্যাট হাতে কামাল দেখানোর পর চেনা ছন্দে বল হাতেও বুম বুম মেজাজে এদিন দেখা গেল তাঁকে। জনি বেয়ারস্টো (৩০), স্যাম কারেন (৩২) ছাড়া সেভাবে ইংল্যান্ডের কোনও ব্যাটসম্যানই রুটকে সঙ্গ দিতে পারেননি বুমরাহদের দাপটের জেরে। তবে একটা প্রান্ত আগলে রেখে দুরন্ত শতরানে ইংল্যান্ডকে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফেরান তাদের অধিনায়ক। আপাতত চতুর্থ দিনের শেষে যা পরিস্থিতি তাতে অ্যাডভান্টেজ ভারতের। যদি শেষ দিনের খেলা বৃষ্টির জেরে বিঘ্নিত না হয় বা কোনওভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে না পড়তে হয়, তাহলে পাঁচ টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচটিু জেতার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে বিরাট ব্রিগেডের সামনে।