রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, আমরা স্কুলের ছাত্রীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব ছাত্রীদের এই সুবিধা দেওয়া হবে। সরকারের কিশোরী সুচিতা অভিযানের আওতায় সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদের দেওয়া হবে ন্যাপকিন। জানা গিয়েছে, ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ন্যাপকিন দেওয়া হবে ছাত্রীদের।
ঋতুচক্রের সময় যাতে ছাত্রীরা স্কুলে আসতে পারে তাই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের স্কুল ব্যাগ পলিসির বাস্তবায়ন করা হবে রাজ্যে। এই কথা জানিয়েছে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার। গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলের ব্যাগের ওজন হবে সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার শরীরের ওজনের ১০ শতাংশ।
গত বছর, হরিয়ানা সরকার বিনামূল্যে স্কুল ছাত্রী সহ মহিলাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার একটি প্রকল্প আনে। তার আওতায় এই ঘোষণা করে তারা। রাজ্য সরকার জানায়, সাড়ে ২২ লক্ষ স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়া হবে । যাদের বয়স ১০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে তাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার ঘোষণা করে।
এদিকে করোনার প্রভাব পড়েছে ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থাতেও। গত বছর মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল থেকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গত ৪ জানুয়ারি থেকে ফের চালু হয়েছে স্কুল। উচ্চ প্রাথমিক থেকে কলেজ স্তর পর্যন্ত খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন মেনে ক্লাস হচ্ছে রাজ্যে।