৩০ জানুয়ারি বনগাঁয় আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ওইদিনই সিএএ নিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়কে বার্তা দিতে পারেন অমিত শাহ। তার আগে মতুয়াদের মন জয়ের চেষ্টায় সক্রিয় হল তৃণমূল। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার গাড়াপোতা, বনগাঁ ও গোবরডাঙায় সভা করল শাসক দল। মতুয়াদের পাগলগোঁসাই ও দলপতিদের নিয়ে আলোচনা সভায় হাজির ছিলেন সৌগত রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও ব্রাত্য বসু।
এই আলোচনাসভাতেই এসসি এসটি শংসাপত্র পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে ক্ষোভ উগরে দেন মতুয়া সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। একথা শুনেই তৎক্ষণাৎ সমস্যা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে শাসক দলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
এদিকে, জেলার তিন জায়গায় মতুয়াদের নিয়ে অনুষ্ঠান হলেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে সবকটি অনুষ্ঠানেই গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। এই নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই পাল্টা যুক্তি দিয়েছে শাসক দল। খাদ্যমন্ত্রী ও উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, 'ত্রিপুরায় মতুয়াদের বৈঠকে গেছেন, তাই আসেনি মমতা।' বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর জানান, 'আমি সব ব্যবস্থা করে গিয়েছি, আগে থেকে কর্মসূচি থাকায় আসতে পারিনি।'
নাগরিকত্বের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া মতুয়াদের কাছে সংশোধিত CAA অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। সিএএ কার্যকর করা নিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এরপরই তাঁর ক্ষোভ প্রশমনে আসরে নামে দলীয় নেতৃত্ব। এদিন এই ইস্যুতে ফের একবার তৃণমূলের সঙ্গে তরজায় জড়িয়েছে শান্তনু ঠাকুর।
বনগাঁ এবং রানাঘাট দু’টি জায়গাতেই মতুয়া ভোট গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। গত লোকসভা ভোটে বনগাঁ এবং রানাঘাট, দু’টি কেন্দ্রই তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। রানাঘাটেও ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬টিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি।
এবার সামনে বিধানসভা ভোট। রাজ্যের প্রায় ৪৮টি বিধানসভা আসনে জয়-পরাজয়ের বড় ফ্যাক্টর মতুয়া ভোট।