খোয়াই(ত্রিপুরা ) : তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতারি ঘিরে তুলকালাম ত্রিপুরার খোয়াই থানায়। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি তৃণমূল নেতৃত্বের। তার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেতা ধৃত সুদীপ রাহা। 


গতকাল ধলাইয়ের আমবাসায় আক্রান্ত হন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা। হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের আক্রান্ত নেতা-নেত্রীদের অভিযোগ, পুলিশি নিরাপত্তায় আমবাসা থেকে যখন তাঁরা ফিরছিলেন, তখন ফের হামলা চালায় বিজেপি। গাড়ির ভাঙা জানালায় ফের বাঁশের বাড়ি মারা হয়। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে আক্রান্তদের দাবি, ত্রিপুরায় নিরাপদ নয় পুলিশও। দ্বিতীয়বারের হামলায় এক এসআই আহত হয়েছেন বলে দাবি যুব তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যর। এনিয়ে ত্রিপুরায় ৫ দিনে ২ বার আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল। ঘটনার পর নিরাপত্তার দাবিতে খোয়াই থানার সামনে অবস্থানে বসেন আক্রান্ত দেবাংশু, জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা-রা। রাতভর চলে বিক্ষোভ। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা গ্রেফতার করা হয় ১৪ জন তৃণমূল নেতাকে। 


এই ঘটনার পর ত্রিপুরায় যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলা বিমানবন্দর থেকে খোয়াই থানায় পৌঁছতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে কালো পতাকা দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পাশাপাশি, গো ব্যাক স্লোগানও দেওয়া হয়। পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে থানায় ঢুকে দলীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষ-রা। সেখানে ওসির সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, কোন অভিযোগে, কেন তাঁদের গ্রেফতার করা হল ? যতক্ষণ দলীয় নেতাদের না ছাড়া হবে, থানাতেই থাকবেন বলে পুলিশকে সাফ জানিয়ে দেন অভিষেক। চরম উত্তেজনা ছড়ায় থানা চত্বরে।


অভিষেকের প্রশ্ন, ভারতের আইন চলবে না এরাজ্যে ? তিনি বলেন, এটা দেশের অঙ্গ। চারিদিকে অরাজকতা, নৈরাজ্যকতা, জোরজবরদস্তি। ত্রিপুরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবেই। বিপ্লব দেবের সরকার চলে যাবে।