জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে ৫৮টি বাক্সে ৭ লক্ষ ভ্যাকসিন আসছে রাজ্যে। পাইলট কারের পাহারায় দুটি ভ্যানে করে নিয়ে কোভিশিল্ড আসা হবে বাগবাজারের স্বাস্থ্য দফতরের ভ্যাকসিন স্টোরে। সেখানে মজুত করে আজ থেকেই বিভিন্ন জেলায় তা বণ্টনের কাজ শুরু হবে। ভ্যাকসিন হাব কলকাতা থেকে পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই ভ্যাকসিনও আলাদাভাবে আসবে। তবে তার সংখ্যা নির্দিষ্ট নয়।
১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া। টিকাকরণের জন্য ছুটি বাতিল করা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের। স্বাস্থ্য দফতর কো-উইন অ্যাপে যাদের নাম নথিভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে নাম। প্রথম দফায় এসএসকেএম হাসপাতাল, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, এনআরএস হাসপাতালে দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। প্রাথমিক স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বেছে নেওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতাল, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীণ হাসপাতালেও হবে ভ্যাকসিন। নিয়োগ করা হয়েছে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের। প্রতিক্ষেত্রে ৫ জনের দল তৈরি করা হয়েছে। যারা হলেন ভ্যাকসিনেটর। যারা টিকা দেবেন, নাম নথিভুক্ত করবেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না সেদিকেও নজর রাখা হবে।
সূত্রের খবর, দেশের ১৩টা শহরে পৌঁছাচ্ছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। যে তালিকায় আছে দিল্লি, আমদাবাদ, কলকাতা, গুয়াহাটি সহ একাধিক শহর। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার এক কোটি এক লক্ষ ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউটকে। সিরাম জানিয়েছে, ২০০ টাকায় প্রতি ডোজ মিলতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। এমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটকে।