কলকাতা: ভারত রাষ্ট্রের মূল সুর তার ধর্মনিরপেক্ষতা, সর্ব ধর্মকে এক চোখে দেখায় বেঁধে। বিজেপি সরকার চাইলেও তা বদলাতে পারবে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের আগে সিএএ-এনআরসি নিয়ে ফের মুখ খুলল তৃণমূল সহ বিরোধীরা। হোয়াইট হাউসও বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ভারত সফরে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলবেন।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হোয়াইট হাউস আধিকারিক দাবি করেছেন, ৩৬ ঘণ্টার ভারত সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করবেন নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন, মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন। আমেরিকার বক্তব্য হাতিয়ার করে বিরোধীরা সিএএ-এনআরসি নিয়ে এক যোগে আক্রমণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিদ্যুৎমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ভারতের শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। তা যদি কেউ নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে পারবে না। মোদী যদি মনে করেন তিনি ধর্মীয় মেরুকরণ করবেন, তা হলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন তিনি। আমেরিকা যদি এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে তা স্বাগত জানাবেন তাঁরা।

আবার সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেছেন, মোদী সরকারের ভুল নীতি ও অসহিষ্ণুতার কারণে দেশের অর্থনীতি এখন দুর্বল, বাণিজ্যের উপযুক্ত পরিস্থিতি না। তাই হোয়াইট হাউসকে সিএএ-এনআরসি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই হচ্ছে। আমেরিকা চায়, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ঝামেলা চলুক, দু’দেশকেই তারা অস্ত্র বেচবে তাই এই কৌশল নিতে হচ্ছে তাদের। কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, আরব দেশগুলি বিশ্বাস করত ভারত প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সেই জায়গাটায় এখন আঘাত লেগেছে, তারা এ নিয়ে চাপ তৈরি করছে আমেরিকার ওপর। তাই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আমেরিকা।

যদিও এই সব চাপানউতোরে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। তাদের বক্তব্য, ট্রাম্প কী বলবেন না বলবেন, তা তাঁর ব্যাপার তবে সারা বিশ্বের সব ধর্মের মানুষকে ভারত জায়গা দিয়েছে।