দ্বিতীয় ইনিংসে আয়োজক দলের থেকে ৩৯ রানে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। স্কোরবোর্ডে ১৯১ রানের মাথায় অলআউট হয়ে যায় গোটা টিম। কিউয়িদের জন্য জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৯ রান। ১০ বল খেলে তারা তা তুলে নেয়। দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্ট ১০ উইকেটে জিতে বিপুল আত্মবিশ্বাস নিয়ে ক্রাইস্টচার্চ যাচ্ছে তারা।
ওয়েলিংটনে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৫ রান তুলতে পেরেছিল বিরাট কোহলির দল। অনুরাগীদের ভরসা ছিল, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারবেন। পৃথ্বী শ, চেতেশ্বর পূজারা, ময়াঙ্ক আগরওয়াল ও কোহলি আউট হওয়ার পর আজিঙ্ক্য রাহানে ও হনুমা বিহারী ক্রিজে এলে মনে হয়েছিল, হয়তো তাঁরা লড়াইটা ফিরিয়ে দিতে পারবেন কিউয়িদের ক্যাম্পে। কিন্তু ২১ বলের বেশি সেই আশা টেকেনি। পাটা উইকেটে মাত্র ২৯ রানের মাথায় রাহানে আউট হয়ে যান। পরের ওভারেই ১৫ রানে ফিরে যান বিহারী। হাল ধরেন ঋষভ পন্থ ঈশান্ত শর্মাকে নিয়ে। ধীরে সুস্থে তাঁরা ইনিংসে পরাজয় এড়ান, ১০ বলে ২ বার ইশান্তকে ফেলেন নিউজিল্যান্ড ফিল্ডাররা।
ভারত যখন নিউজিল্যান্ডের থেকে মাত্রই ৬ রান এগিয়ে, তখন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে ১২ রানে এলবিডব্লিউ হন ইশান্ত। আর কয়েক মিনিটের বেশি ঋষভও টেকেননি, ২৫ রানে আউট হন তিনি। মহম্মদ সামি আউট হন ২ রানে। ৯ রানের টার্গেটে পৌঁছতে কিউয়িদের কোনও সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। ১০ উইকেটে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি তারা তুলে নেয় ৬০ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট।
টিম সাউদি ৬১ রানে পান ৫ উইকেট, এটি তাঁর কেরিয়ারে দশম ৫ উইকেট প্রাপ্তি। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ উইকেট পান ৩৯ রানে। মূলত তাঁদের বোলিংয়ে মাত্র ৭৯ মিনিটে ভারতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায়।
এ নিয়ে বিরাটের নেতৃত্বে ১১টি টেস্ট হারল টিম ইন্ডিয়া। আশ্চর্য ব্যাপার, প্রতিবারই বিরাট টসে হেরেছেন। তবে এর আগের প্রতিটি পরাজয় ছিল রানের ব্যবধানে বা ইনিংসে, এই প্রথম পরাজয় হল উইকেটে। উল্টোদিকে এটি ছিল নিউজিল্যান্ডের শততম টেস্ট জয়।