মুম্বই: সাতসকালে নাটকীয় মোড় এসেছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। গোটা দেশকে চমকে দিয়ে মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফডণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অজিত পওয়ার।  তারপরেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শরদ পওয়ার জানান, ‘এটি অজিত পওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত,  এর সঙ্গে এনসিপি-র কোনও যোগ নেই। আমরা একে সমর্থন করছি না।’
মহারাষ্ট্রে ফডনবীশের সরকারগঠনের বিষয়ে শরদ পওয়ারের বক্তব্য কী, তা জানতে মুখিয়ে ছিল সারা দেশ। এই আবহে মুম্বইয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার।
বৈঠকে তিনি ঠিক কী কী বলেন নজর রাখব।
শরদ পওয়ার জানিয়ে দেন -


বিজেপিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত অজিতের: শরদ পওয়ার

অজিতের শপথ নেওয়ার খবর সকালে পেয়েছি: শরদ পওয়ার

অজিতের বিষয়ে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমি নেব : শরদ পওয়ার

অজিতের সঙ্গে কয়েকজন বিধায়ক আছে : শরদ পওয়ার

আমাদের কাছে ১৭০ বিধায়কের সমর্থন ছিল: শরদ পওয়ার

অজিত পওয়ারের সিদ্ধান্ত দলের লাইনের বিপক্ষে: শরদ পওয়ার

গোটাটাই শৃঙ্খলাভঙ্গের সামিল : শরদ পওয়ার

যারা অজিতের সঙ্গে যাচ্ছেন তাঁরা বিধায়কপদ খোয়াতে পারেন : শরদ পওয়ার

দলত্যাগবিরোধী আইনের আওতায় পড়তে পারেন তাঁরা : শরদ পওয়ার
এরপর শরদ পওয়ার দাবি করেন, 'যে সমস্ত এনসিপি বিধায়কেরা শুক্রবার কংগ্রেস-এনসিপি-শিবসেনার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের স্বাক্ষর রয়েছে একটি চিঠিতে। আমার মনে হয় ওই চিঠিটিই রাজ্যপালকে দেখিয়ে অজিত পওয়ার বলেছেন, এই সমস্ত বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে।'



তিনি আরও বলেন, 'আমি জানি না অজিত পওয়ার কোনও তদন্তকারী সংস্থার ভয়ে এই কাজ করেছেন কি না, তবে যে ১০-১১ জন বিধায়ক সকালে রাজভবনে ওঁর সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের ৩ জন এখনই আমার পাশে।'



এরপরই এনসিপি বিধায়ক রাজেন্দ্র সিঙ্গানে বলেন, তাঁকে আলোচনার জন্য ডাকেন অজিত । সেখান থেকে নিয়ে যান রাজভবনে। কিছু বোঝার আগেই শপথ হয়ে যায়।  শরদ পওয়ারের পক্ষে তিনি। জানিয়ে দেন সোজাসুজিই।



সিঙ্গানে ছাড়াও ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন আরও দুই এনসিপি বিধায়ক, যাঁরা ফডনবীশের শপথগ্রহণে হাজির ছিলেন।
পওয়ারের দাবি, এরপর বিজেপিকে নিশ্চয়ই বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। তখন তারা পারবে না। তখন শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপিই সরকার গঠন করবে।



ওই সাংবাদিক বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে জানান,  শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই নয়, সারা দেশেই এমনটা করছে বিজেপি। আমরাই সরকার গড়ব। আমরা একজোট হয়ে থাকব। সবাই জানে, যারা পেছন থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাদের সঙ্গে কী করেছিলেন ছত্রপতি শিবাজী। পারলে শিবসেনাকে ভেঙে দেখান, মহারাষ্ট্র ঘুমিয়ে থাকবে না।



অন্যদিকে শিবসেনা মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, যে ৮ জন বিধায়ক অজিতের সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৫ জন ফিরে এসেছেন। তাঁদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।