কলকাতা: একসময় তাঁকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির উত্তরসূরি ভাবা হচ্ছিল। এমনকী, ঋদ্ধিমান সাহা চোট পাওয়ার পর টেস্ট দলেও নিয়মিত হয়ে উঠেছিলেন। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সেঞ্চুরি করে এসেছিলেন।


সেই ঋষভ পন্থ আপাতত জাতীয় দলের বাইরে। ধারাবাহিকতার অভাবে বাদ পড়েছিলেন প্রথম একাদশ থেকে। অন্যদিকে দুরন্ত প্রত্যাবর্তবন ঘটিয়েছেন ঋদ্ধিমান। উইকেটের পিছনে ক্রমশ দুর্ভেদ্য হয়ে উঠেছেন। পঞ্চম ভারতীয় উইকেটকিপার হিসাবে টেস্টে উইকেটের পিছনে একশো শিকারের মালিক। ইডেনেও তাঁর ক্ষিপ্রতা আর অবিশ্বাস্য সমস্ত ক্যাচ সকলকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখছে।

আর তার ফাঁকেই ঋষভকে ফের ঘরোয়া ক্রিকেটে ঘষামাজা করার জন্য পাঠানো হচ্ছে। শুক্রবার জাতীয় নির্বাচকেরা ঠিক করেন যে, চলতি ইডেন টেস্টে ঋদ্ধিমান প্রথম একাদশে থাকায় ঋষভকে বাইরেই থাকতে হচ্ছে। সেই সময়টা দিল্লির হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেললে বরং তরুণ উইকেটকিপার উপকৃত হবেন বলে মনে হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের। যে কারণে দিল্লির হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি খেলতে বলা হয়েছে ঋষভকে।

ইডেন টেস্টে কোনও কারণে ঋদ্ধি চোট পেয়ে গেলে? আইসিসি-র নতুন নিয়মে তো স্কোয়াডে থাকা কোনও উইকেটকিপার ম্যাচে কিপিং করতে পারবেন! সেই বিকল্প ভেবে রেখেছেন নির্বাচকেরা। অন্ধ্র প্রদেশের কেএস ভরতকে উড়িয়ে আনা হয়েছে কলকাতায়। বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ান ডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ঋষভ। নির্বাচকেরা মনে করেছেন তার আগে দিল্লির হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্ট খেললে ওর ভালই হবে।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে চলেছেন ভরত। ৬৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ৮টি সেঞ্চুরি-সহ ৩৯০৯ রান রয়েছে তাঁর। করেছেন ট্রিপল সেঞ্চুরিও। ভরত বলেছেন, ‘আমি ২০১৫ সালে দলীপ ট্রফিতে লখনউয়ে প্রথম গোলাপি বলে খেলেছিলাম। বিরাট ভাইয়ের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে থাকতে পারব বলে আমি উত্তেজিত।’