ভারতে আজ পর্যন্ত সর্বশেষ হিসাব অনুসারে ১২৬ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পজিটিভ ধরা পড়েছে। তিনজনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
রাহুল বলেছেন, ভারতীয় অর্থনীতি ধ্বংস হতে চলেছে। দেশ ইতিমধ্যেই যে যন্ত্রণা, বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে এবং যে বিপদ আসছে, তার কোনও ধারণা আপনাদের নেই। এটা একটা সুনামি ধেয়ে আসার মতো।
২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরের আশপাশের গোটা এলাকাকে কীভাবে সুনামি, জলোচ্ছ্বাস প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে এসে গ্রাস করেছিল, তা বোঝাতে একটি কাহিনির বর্ণনা দেন। বলেন, জল কিন্তু ছুটে আসছে। আমি সরকারকে সাবধান করে চলেছি। কিন্তু ওরা বোকা বানাচ্ছে, কী করতে হবে, সেটা ওদের কাছেও স্পষ্ট নয়। ভারতের শুধুমাত্র কোভিড-১৯ এর জন্য নয়, যে আর্থিক বিপর্যয় আসছে, তার মোকাবিলায়ও প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আমি বারবার বলেই চলেছি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যে, আগামী ৬ মাসে আমাদের দেশবাসীকে অকল্পনীয় দুর্দশা, কষ্ট ভোগ করতে হবে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতিক্রিয়া পর্যাপ্ত, যথেষ্ট নয় বলে রাহুল এর আগেও সরব হয়েছেন।
গত শুক্রবার কোভিড-১৯ নিয়ে আতঙ্ক, উত্কন্ঠার মধ্যে দেশের শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধসের জন্যও তিনি কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় বলে তোপ দাগেন। সেদিন বাজার খোলার ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে লগ্নিকারীদের কয়েক কোটি টাকা লোকসান হয়, অতিমারী ঘিরে আতঙ্ক, ত্রাসের জেরে শেয়ার সূচকের ১০ শতাংশ পতন ঘটে। তারপর রাহুল ট্যুইট করেন, কথা বলেই যাব। করোনাভাইরাস এক বিরাট সমস্যা। তাকে উপেক্ষা করা সমাধানের উপায় হতে পারে না।