নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আসা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘুরা নাগরিকত্ব পাবেন। এই আইনে মুসলিমদের উল্লেখ নেই। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, এর ফলে ধর্মের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা হচ্ছে, লঙ্ঘিত হচ্ছে সংবিধান। মুসলমান সম্প্রদায়কে সমস্যায় ফেলার জন্য এই আইন ও এনআরসি করা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও কেন্দ্র বারবার জানিয়েছে, নাগরিকত্ব আইনের লক্ষ্য শুধু ধর্মীয় কারণে প্রতিবেশী দেশগুলিতে অত্যাচারিত সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার এর উদ্দেশ্য নয়। শাহিনবাগে পালন করুন ভ্যালেন্টাইনস ডে, প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালেন বিক্ষোভকারীরা
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 14 Feb 2020 08:34 AM (IST)
শাহিন বাগ বিক্ষোভকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে শাহিনবাদে আসুন, আপনার উপহার নিন, কথা বলুন আমাদের সঙ্গে।
নয়াদিল্লি: শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা তাঁদের সঙ্গে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানালেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাঁদের কাছে রয়েছে একটি প্রেমের গান ও সারপ্রাইজ গিফট। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির প্রতিবাদে ১৫ ডিসেম্বর থেকে শাহিনবাগে চলছে বিক্ষোভ। এই ইস্যুতে দিল্লি বিধানসভা ভোটও হয়েছে, তাতে অবশ্য সুবিধে করতে পারেনি বিজেপি। উজ্জীবিত শাহিন বাগ বিক্ষোভকারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করছেন, প্রধানমন্ত্রী, দয়া করে শাহিনবাদে আসুন, আপনার উপহার নিন, কথা বলুন আমাদের সঙ্গে। শাহিনবাগের অন্যতম প্রথম বিক্ষোভকারী সৈয়দ তাসির আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা অন্য যে কেউ, এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন। যদি তাঁরা আমাদের বোঝাতে পারেন, যে যা হচ্ছে তা সংবিধান বিরোধী নয়, তবে আমরা আন্দোলন তুলে নেব। সরকার বলছে, নাগরিকত্ব আইন নাগরিকত্ব দিতে, কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিতে হয়। কিন্তু কেউ বলছে না, এতে দেশের কী সুবিধে হবে। বেকারি, দারিদ্র ও আর্থিক মন্দার মত ইস্যু কি নাগরিকত্ব আইন দিয়ে মোকাবিলা সম্ভব, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।