সুরাত: ১ মাস হতে চলল, গুজরাত কংগ্রেসের আগুনখেকো নেতা হার্দিক প্যাটেল নিখোঁজ। পতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি বা পাস-এর এক অনুষ্ঠানে তাঁর স্ত্রী কিঞ্জল দাবি করেছেন এ কথা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনও সক্রিয় হার্দিক, মঙ্গলবারই ফেসবুকে পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার মিথ্যে মামলায় জেলে পোরার চেষ্টা করছে তাঁকে।


গুজরাতে পতিদারদের কোটার দাবিতে আন্দোলন উসকে দিয়েছিলেন ২৬ বছরের হার্দিক। এই আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে হয় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেন প্যাটেলকে, বলা হয়, পতিদার বিক্ষোভ তিনি ঠিকমত সামলাতে পারছেন না। হার্দিকের স্ত্রী কিঞ্জল বলেছেন, ২০১৫-র একটি রাষ্ট্রদ্রোহ সংক্রান্ত মামলায় ১৮ জানুয়ারি হার্দিককে গ্রেফতার করা হয়। তারপর থেকে তাঁর খোঁজ নেই। আদালত বারবার নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও হাজিরা দিচ্ছিলেন না হার্দিক। জারি হয় জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। ১৮ তারিখ গ্রেফতার হওয়ার ৪ দিন পর জামিন পান তিনি, ফের অন্য দুটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এই দুই মামলায় তিনি জামিন পান ২৪ তারিখ। কিন্তু আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় ৭ ফেব্রুয়ারি ফের জারি হয় জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা।

কিঞ্জলের বক্তব্য, হার্দিক কোথায় তিনি জানেন না। কিন্তু পুলিশ নিয়মিত তাঁর খোঁজে তাঁদের বাড়ি আসছে।

হার্দিক আবার ফেসবুকে লিখেছেন, এ বছরের শেষে পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে বিজয় রূপানি নেতৃত্বাধীন গুজরাত বিজেপি সরকার তাঁকে গ্রেফতার করতে চায়। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা আনা হয়েছে, তিনি আগাম জামিনের চেষ্টায় রয়েছেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ পতিদার নেত্রী ও বর্তমানে এনসিপিতে যোগ দেওয়া রেশমা প্যাটেল বলেছেন, রাজ্য সরকার কথা দিয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে থাকা সব মামলা প্রত্যাহার করবে। সেই কথা তারা রাখেনি। দরকার পড়লে আবার দলমতনির্বিশেষে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা।

হার্দিক ঘনিষ্ঠদের ধারণা, পুলিশের ভয়েই সম্ভবত গা ঢাকা দিয়েছেন হার্দিক। কিন্তু বিজেপি বলছে, পতিদার নেতাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের যত মামলা ছিল, সব প্রত্যাহার করা হয়েছে। যেগুলি তাদের আওতায় নেই, সেগুলি চলছে শুধু। নোটিশ পাওয়া সত্ত্বেও হার্দিক আদালতে যাচ্ছিলেন না, সে জন্যই সমস্যায় পড়েছেন তিনি।