দামাস্কাস : ভূমিকম্পের (Earthquake) রেশ যেন থামছেই না। ফের একবার তীব্র কম্পন অনুভূত হল তুরস্কের (Turkey Earthquake)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। প্রবল ভূমিকম্পের জেরে কার্যত বিধ্বস্ত তুরস্ক। ধ্বংসস্তূপে পরিণত দেশটিতে এখনও উদ্ধার হয়ে চলেছে লাশের সারি। এর মাঝেই ফের একবার আফটার শকে কেঁপে উঠল তুরস্ক। দক্ষিণ তুরস্কে এই আফটার শকের উৎসস্থল।


ভূমিকম্পের রেশ, যেন মহাপ্রলয় তুরস্ক-সিরিয়ায়


গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রথমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের একাধিক আঘাত আছড়ে পড়েছিল তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের কাছে। তুরস্কের দক্ষিণভাগ সহ কার্যত গোটা দেশ ও সিরিয়ার এক বড় অংশ একাধিক ভূমিকম্পের জেরে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রথমে ৭.৮ , তারপর ৭.৬ ও যার পরে একে একে আরও তুলনামূলক কম তীব্র ভূমিকম্প আছড়ে পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত শেষখবর পাওয়া পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ তুরস্কের ( Turkey  ) গাজিয়ানটেপ প্রদেশ ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল ( Nurdagi city in the Gaziantep province )। একবার নয়, একটি ভূকম্পের পর আবার। ১০ মিনিট পরেই আফটার শক। দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। একাধিক ভূকম্প অনুভূত হয় ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, লেবানন, সিরিয়াতেও প্রবল কম্পন অনুভূত হয়। তুরস্ক লাগোয়া সিরিয়ার ( Syria ) একাংশেও বহু বাড়ি ভেঙে পড়ে। ১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ।  


 






প্রায় ৩০০ আফটারশক অনুভূত হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে-


তুরস্ক আনাতোলিয়ান টেকটোনিক পাতের উপর অবস্থিত। ইউরেশিয়ান এবং আফ্রিকান পাতের মধ্যে আঁটোসাটো অবস্থান তার। উত্তরে রয়েছে আরবিয়ান প্লেট, তাতে আরও অবরুদ্ধ অবস্থান। ইউরেশিয়ান এবং আনাতোলিয়ান পাতের সংযোগস্থলে রয়েছে একটি ফাটল, যা নর্থ আনাতোলিয়ান ফল্ট লাইন হিসেবে পরিচিত, যা বিপর্যয় ডেকে আনে। নর্থ আনাতোলিয়ান ফল্ট ইস্তানবুলের দক্ষিণ থেকে তুরস্কের উত্তর-পূর্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। অতীতেও এর কারণে একাধিক বার বিপর্যয় নেমে এসেছে। 


আরও পড়ুন- 'মহামারীর আকার নিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস', বাড়ির খুদেকে সামলে রাখবেন কীভাবে ? জানাচ্ছেন চিকিৎসক