অবশ্য শুধু কুকুর নয়, তুর্কমেনিস্তানের প্রেসিডেন্টের মূর্তির প্রতিও একটা টান রয়েছে। হীরক রাজার দেশে-র স্টাইলে ২০১৫-য় নিজের মূর্তিও বসান তিনি, ব্রোঞ্জে তৈরি, ২৪ ক্যারাট সোনা দিয়ে মোড়া। তা আবার বসানো হয় বিশাল এক মার্বেলের টুকরোর ওপর। মূর্তি উন্মোচনের সময় বেলুন টেলুন উড়িয়ে, আকাশে পাখি ছেড়ে একেবারে তুলকালাম কাণ্ড।
এবার যে কুকুরের সোনার মূর্তি তৈরি হল তা লোকাল ব্রিড, জাতে অ্যালাবাই। মূলত ভেড়া চরানোর কাজে ব্যবহার হওয়া এই কুকুর জাতীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। বার্দিমুখামেদোভ আবার জাতীয়তাবোধ চলকে দিতে এই কুকুরের ব্যবহার করেন। তাঁকে সংবাদমাধ্যমে আসতে দেখা যায় কুকুর কোলে, কুকুর নিয়ে লেখেন টেখেনও। মন্ত্রিসভার সদস্যদের এ নিয়ে কবিতা লিখেও উপহার দিয়েছেন, তা নিয়ে আবার গান তৈরি হয়েছে। এতেই শেষ নয়, দেশের যাবতীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা এই স্বৈরাচারী শাসক বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছেন, অ্যালাবাই কুকুরের পেডিগ্রি আরও উন্নত করার জন্য টাকাপয়সা দিতে।
২০১৭ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকেও জন্মদিনের উপহার হিসেবে তিনি একটি অ্যালাবাইয়ের ছানা উপহার দেন। পুতিন তার নাম রাখেন ভার্নি, রুশ ভাষায় বিশ্বস্ত।
২০০৬ সাল থেকে তুর্কমেনিস্তান শাসন করছেন বার্দিমুখামেদোভ। ২০১২ সালে মোট ভোটের ৯৭ শতাংশ পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন, ২০১৭-য় ক্ষমতায় আসেন তিনি। কঠোর স্বৈরাচারে শাসিত এই দেশকে বলা হয় বিশ্বের অন্যতম বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় এই দেশ সব থেকে পিছিয়ে, তাদের আগে শুধু উত্তর কোরিয়া।