নয়া দিল্লি : আবেদনের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে 'ব্লু ব্যাজ ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম' সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল ট্যুইটার। কোম্পানি জানিয়েছে, পুরোনো আবেদন সামলে উঠলেই ফের এই ফিচারের আবেদন নেবে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট।


শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ছন্দপতন। সম্প্রতি 'ব্লু ব্যাজ ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম' চালু করেছিল ট্যুইটার। গ্রাহকের বিশ্বাসযোগ্যতা তুলে ধরতেই শুরু হয়েছিল এই ফিচারের কাজ। কিন্তু আবেদনের বন্যায় দ্রুত এই কাজে 'বিরতি' নিতে হল ট্যুইটারকে। শনিবার এ প্রসঙ্গে ট্যুইট করেছে ট্যুইটার। কোম্পানি বলেছে, ''আমরা এখন ভেরিভিকেশন রিকোয়েস্টের ওপর কাজ করছি। সেই কারণে নতুন রিকোয়েস্ট নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। একবার পুরোনো ব্লু টিক ভেরিফিকেশনের রিকোয়েস্ট যাচাইয়ের কাজ শেষ হলেই নতুন আবেদন নেওয়া হবে।''


গত সপ্তাহেই ৬টি শ্রেণিতে ব্লু ব্যাজ ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম শুরু করে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার। বিশ্বের ট্যুইটার গ্রাহকদের ব্লু ব্যাজ দিতেই শুরু হয় এই ফিচারের কাজ। যার জন্য সবার পরিচয় যাচাই করতে হচ্ছে এই জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে। সম্প্রতি আবেদনের স্তূপ জমতে থাকায় নতুন আবেদন নেওয়া বন্ধ করে তারা। ২০১৭ সালেও ভেরিফিকেশন প্রোগ্রাম বন্ধ করেছিল ট্যুইটার। যা ফের চালু হয়েছে এই বছর। 


নতুনভাবে পরিচয় যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ৬টি ক্যাটেগরিতে ভাগ করছে কোম্পানি। গভর্নমেন্ট, কোম্পানিজ, ব্র্যান্ডস অ্যান্ড অর্গানাইজেশন, নিউজ অর্গানাইজেশন অ্যান্ড জার্নালিস্ট, এন্টারটেইনমেন্ট, স্পোর্টস অ্যান্ড গেমিং, অ্যাক্টিভিস্ট ছাড়াও অর্গানাইজার ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের জন্য আলাদা শ্রেণি বানিয়েছে ট্যুইটার। তবে চলতি বছরে মাইক্রো ব্লগিং সাইটে নতুন শ্রেণি অন্তর্ভুক্ত করবে বলে জানিয়েছে ট্যুইটার। যার মধ্যে বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় নেতাদের আলাদা বিভাগ হবে।


ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে, একবার আবেদন গৃহীত হলে প্রোফাইলের পাশে ব্লু টিক দেখতে পাবেন গ্রাহকরা। এর মধ্যে ভুল বা সমস্যা থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে হবে ইউজারকে। একবার ব্লু টিকের জন্য আবেদন জমা পড়লে কয়েক দিনের মধ্যেই ই-মেইলে তার জবাব পাবেন গ্রাহক। কোনও কারণে জবাব দিতে দেরি হলে, বুঝতে হবে অন্য আবেদন সামলাতে গিয়েই কোম্পানির এই দেরি হচ্ছে।