নয়াদিল্লি: লাদাখকে ভুল ভাবে চিনের অংশ বলে দেখিয়ে তীব্র সমালোচনা, নিন্দার মুখে সংসদীয় কমিটির কাছে লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা করল ট্যুইটার। কমিটির চেয়ারপার্সন মীনাক্ষী লেখি মাইক্রোব্লগিং সাইটটি চলতি মাসের শেষ নাগাদ ভুল শুধরে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন। ট্যুইটারের চিফ প্রাইভেসি অফিসার ড্যামিয়েন কারিয়েন রীতিমতো হলফনামা দিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন। সংবাদ সংস্থার খবর, মীনাক্ষী বলেছেন, ভারতের অনুভূতি, আবেগকে আঘাত করায় ওরা ক্ষমা চেয়ে নিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ত্রুটি শুধরানোর কথা দিয়েছে। জনসাধারণের আস্থা, ভরসা অর্জন, বজায় রাখা ও তাদের সেবা করায় দায়বদ্ধতার কথাও জানিয়েছে ট্যুইটার। সংস্থার মুখপাত্র বলেছেন, আমাদের পরিষেবার প্রতি লোকের আস্থা অর্জনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। জনসাধারণের মধ্যে মতামতের আদানপ্রদান রক্ষা করা ও ভারত সরকারের শরিক হওয়ায় ট্যুইটার দায়বদ্ধ রয়েছে।
গত মাসে এক লাইভ সম্প্রচারে কেন্দ্রশাসিত লাদাখের সবচেয়ে বড় শহর লে-কে চিনের এলাকা বলে দেখায় ট্যুইটার। এভাবে ভারতের মানচিত্রকে ভুল ভাবে তুলে ধরায় অসন্তোষ জানায় তথ্য সুরক্ষা বিল সংক্রান্ত সংসদের যৌথ কমিটি। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, এটা দেশদ্রোহিতার সমান, ট্যুইটারের মার্কিন কর্তৃপক্ষের কাছেও ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠায়।
ট্যুইটার সিইও জ্যাক ডোরসিকে কড়া চিঠি লেখেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য় সম্প্রচারমন্ত্রকের সচিব অজয় সাহনি। মন্ত্রকের সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানায়, তিনি ডোরসিকে ভারতের সংবেদনশীলতাকে সম্মান জানাতে বলেন। সেসময় ট্যুইটার সাফাই দিয়েছিল, এটা টেকনিক্যাল ইস্যু, যার দ্রুত মীমাংসাও করা হয়ে গিয়েছে। তবে এখন তারা যে হলফনামা দিয়েছে,তাতে বলেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা জিও-ট্যাগ ইস্যুটি এমনভাবে মীমাংসার চেষ্টা করছি যাতে লে ও কেন্দ্রশাসিত লাদাখের অন্য শহরগুলিকে সঠিক ভাবে তাদের নাম, এলাকা, দেশের উল্লেখ করে দেখানো হবে। এর পাশাপাশি আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের আরও নানা শহরের জিও-ট্যাগ রিভিউ করছি। এই কাজটা ইতিমধ্যেই এগিয়ে গিয়েছে, ২০২০-র ৩০ নভেম্বরকে প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার সময়সীমা ধরা হয়েছে।