২৪ জুলাই বিয়ে করেন ২৪ বছর বয়সি ওই মুসলিম যুবক ও ২২ বছরের তরুণী। সম্প্রতি ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসে হাজির হন তাঁরা। সেখানেই হাজির হয় বজরং দলের সমর্থকরা। বিয়ের নথিভুক্তকরণের আগে ধর্মান্তরণের জন্য জেলাশাসকের কাছে অনুমতি নিয়েছিলেন কিনা তা জানতে চায়, অনুমতি পত্র দেখাতে বলে তারা। তা দেখাতে না পারায় তাদেরকে স্থানীয় থানায় নিয়ে যায় বজরং দলের সমর্থকেরা। বলে, তোমাদের মতো লোকজনের জন্যই এই আইন!
১ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভি়ডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কান্থ থানায় ওই তরুণী, যুবক ও যুবকের ভাইকে ঘিরে সওয়াল জবাব পর্ব চালাচ্ছেন বজরং দলের সমর্থকরা। উত্তরপ্রদেশে ধর্ম বদল রুখতে সম্প্রতি অধ্যাদেশ জারি করেছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই আইন অনুযায়ী জোর করে ধর্ম বদলের অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের কঠোর সাজা হতে পারে। যদিও ওই তরুণী সাংবাদিকদের বলেছেন, ’’আমি প্রাপ্তবয়স্ক, বয়স, ২২ বছর। ২৪ জুলাই স্বেচ্ছায় আমি ওকে বিয়ে করি।এটা আমাদের বিয়ের পঞ্চমতম মাস।‘‘
মেয়ের মা যদিও উল্টো কথা বলেছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে ওই মুসলিম যুবক এবং হিন্দু ধর্ম বদলাতে বাধ্য করেছে।
মেয়েটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই তরুণ ও তাঁর ভাইকে গ্রেফতার করেছে। তবে ওই তরুণী ইতিমধ্যেই ধর্ম পালটেছেন নাকি ধর্ম বদলের তোড়জোড় করছিলেন তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।