অরিত্রিক ভট্টাচার্য, প্রদ্য়োৎ সরকার, রাজীব চৌধুরী, কলকাতা: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের আগে বিশিষ্টদের কটাক্ষ কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের। বাজে কদমতলা ঘাটে বিদ্বজ্জনদের প্রতীকী পিণ্ডদান কর্মসূচি INTUC সেবাদলের।
আরও পড়ুন, ২১ জুলাই কোন পথে এগোবে তৃণমূলের মিছিল ? সমস্যায় পড়লে কোন নম্বরে ফোন ? জানাল কলকাতা পুলিশ
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে বিশিষ্টদের আত্মা ঘুরে বেড়াবে, কটাক্ষ INTUC সেবাদলের। বিশিষ্টরা মৃত, তাই পিণ্ডদান, দাবি আইটিইউসি নেতাদের । আরজি করকাণ্ড, কসবা গণধর্ষণকাণ্ড থেকে কালীগঞ্জে তামান্না খুন। একের পর এক ঘটনাতেও মৌন বিশিষ্টরা, অভিযোগ INTUC সেবাদলের। কংগ্রেস আগেই নিজের দলের পিণ্ডদান করেছে, পাল্টা খোঁচা কুণালের।
রাত পোহালেই ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন কর্মসূচি। কালই নদিয়ার পলাশিতে শহিদ দিবস পালন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে কংগ্রেসও। শর্তসাপেক্ষে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। আর জি কর থেকে কালীগঞ্জের তামান্নার ঘটনাকে সামনে রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হবেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এ নিয়ে কটাক্ষ শানিয়েছে তৃণমূল।
প্রদেশ কংগ্রেস প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আগামীকাল আমরা পলাশিতে এই প্রতিবাদ সভা করছি। শহিদ দিবস পালন করছি। ২৬ এর বিধানসভা ভোটের আগে হাইভোল্টেজ ২১ জুলাই। একই দিনে রাজ্যের তিন প্রান্তে তৃণমূল, বিজেপি ও কংগ্রেসের তিন হেভিওয়েট নেতা নামবেন ময়দানে। তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবসের দিনই উত্তরকন্য়া অভিযানের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই একই দিনে নদিয়ার পলাশিতে শহিদ দিবস পালনের ডাক দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী।এই কর্মসূচিতে পুলিশের অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। শর্তসাপেক্ষে কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ, ৮০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না।উস্কানিমূলক কোনও মন্তব্য করা যাবে না। যান চলাচলে বাধা দেওয়া যাবে না।অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা কালকে (সোমবার) পলাশিতে অভিযান করছি, আমরা করছি তামান্না এবং অভয়ার বিচারের দাবিতে। সেখানেও আমাদের অনুমতি দেওয়া হয়নি, আমরা আদালতে গেছিলাম, আদালত থেকে আমরা আদেশ নিয়ে এসেছি। এই শহিদ দিবস পালন করছি। ১৯৯৩-এর ২১ জুলাই,মহাকরণ অভিযানের পথে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ১৩জন যুব কংগ্রেস সমর্থকের। সেদিনের নিহতদের প্রতি রবিবার দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পাশাপাশি, কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন INTUC ও যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়।পশ্চিমবঙ্গ শাখার INTUC সেবা দলের সভাপতি প্রমোদ পাণ্ডে বলেন, ১৯৯৩ সালের প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান আইনশৃঙ্খলাকে কটাক্ষ ও বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই তখন কংগ্রেস ভাগ হয়নি। তখন তৃণমূলের জন্ম হয়নি। যারা গিয়েছিলেন, তাঁরা মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের স্রোতের সৈনিক। তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রীর সৈনিক। ওদের কে বারণ করেছিল। ওদের শূন্য হতে আমরা বলেছি? সব মিলিয়ে ২১ এর লড়াই ঘিরে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি।