মুম্বই: মে মাসে ভারতে ৬০০ কর্মী ছাঁটাই করেছে তারা। এবার অ্যাপ ক্যাব উবর তাদের মুম্বই অফিস পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দিল। এখানকার কর্মীরা ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোম করবেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী বছর তাঁদের অন্য কোনও অফিসে সরানো হবে কিনা জানা যায়নি।


উবর মুখপাত্র এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বলেছেন, মুম্বইয়ের গ্রাহকদের উচ্চমানের পরিষেবা দিতে তাঁরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

করোনার ফলে উদ্ভূত আন্তর্জাতিক মন্দার জেরে গোটা বিশ্বে ৬,৭০০ কর্মী ছাঁটাই করে উবর। ভারতেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা এক চতুর্থাংশ কর্মী ছাঁটাই করে। কাস্টমার ও ড্রাইভার সাপোর্ট, বিজনেস ডেভলপমেন্ট, লিগ্যাল, ফিনান্স, পলিসি, মার্কেটিং ভার্টিক্যাল- প্রভাব পড়ে সব ক্ষেত্রে। এবার দেখা যাচ্ছে, কর্ম সংস্থান কমানোর পাশাপাশি তারা সম্পত্তি ও ভাড়া বা লিজ সংক্রান্ত খরচও কমাতে চাইছে। উবরের সিইও দারা খোসরোশাহি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের জেরে তাঁদের ব্যবসা যেভাবে মার খেয়েছে তাতে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

এ বছর উবর ইন্ডিয়া তাদের খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবসা জোম্যাটো বিক্রি করে দেয়। শুধু ভারতেই নয়, অন্যত্রও আরও অন্তত ৮টি ফুড ডেলিভারি সংক্রান্ত কারবার থেকে হাত গুটিয়ে নেয়। যাতে ২০২১ অর্থ বর্ষের শেষে কোম্পানি লাভের মুখ দেখে, সে জন্য এভাবে খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত।

২০২০ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে উবরের সব মিলিয়ে ক্ষতি হয়েছে ১৪ শতাংশ। মোট লোকসান বেড়ে হয়েছে ২.৯ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯-এর প্রথম ত্রৈমাসিকে এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১.১ বিলিয়ন ডলার, তার থেকে এক লাফে ১৬৩ শতাংশ ক্ষতি বেড়ে গিয়েছে।

এ দেশে উবরের সদর দফতর গুরুগ্রামে। এছাড়া বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদে তাদের অফিসে বহু ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত। এছাড়া বহু শহরে ছোট ছোট পার্টনার সাপোর্ট সেন্টার আছে। এই সব অফিসের ব্যাপারে তারা কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে এখনও পরিষ্কার নয়।

ভারতে উবরের প্রতিদ্বন্দ্বী ওলাও মে মাসে ১,৪০০ ছাঁটাই করেছে।